খোলার আগে নতুন চেহারায় মেঘনাদ সাহা তারামণ্ডল। নিজস্ব চিত্র।
প্রায় এক বছরের উপরে বন্ধ থাকা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনাদ সাহা তারামণ্ডল অবশেষে খুলতে চলেছে। আগামী ১৯ জুলাই, মঙ্গলবার সর্বসাধারণের জন্য সেটি খুলে দেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সংস্কারের জন্য প্রায় এক বছর বন্ধ রাখা হয় তারামণ্ডল। উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার জানান, জার্মানি থেকে নতুন যন্ত্র কিনে তারামণ্ডলে বসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক (উন্নয়ন) ইন্দ্রজিৎ রায় বলেন, “জার্মানির একটি বড় সংস্থাকে ‘থ্রি ডি ডিজিট্যাল প্রোজেকশন সিস্টেম’ তৈরির বরাত দেওয়া হয়। ওই সংস্থা আট মাস পরে যন্ত্রটি তৈরি করে আমাদের হাতে তুলে দেয়। তারপরে যন্ত্রটি বসাতে আরও দু’মাস সময় লেগেছে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতর থেকে পাওয়া ৯৫ লাখ টাকায় তারামণ্ডলের জন্য যন্ত্র কেনা হয়েছে। সংস্কারের জন্য ৩০ লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে তারামণ্ডলটি তৈরি হয়। দীর্ঘ একুশ বছর ধরে চলার পর তারামণ্ডলের বিভিন্ন যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে। মেঘনাদ সাহা তারামণ্ডলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলেন্দু ঘোষ বলেন, “যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ায় প্রদর্শনী বন্ধ করে দিতে হয়। পুরনো প্রযুক্তিতে আর অনুষ্ঠান চালানো যাচ্ছিল না। এখন অত্যাধুনিক যন্ত্র চলে আসায় আর সমস্যা হবে না।”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা অন্তর প্রদর্শনী চলত। প্রদর্শনী বন্ধ হওয়ার পরে তারামণ্ডলের চারদিক আগাছায় ভরে যায়। নষ্ট হতে বসে ভিতরের চেয়ারগুলিও। খসে পড়ছিল ছাদের পলেস্তেরা। পরে সে সব সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়। একসময় ৯০ আসনের প্রদর্শনীতে বিশেষ বিশেষ সময়ে ভিড় উপচে পড়ত। তারামণ্ডলের কর্মীরা জানান, গত এক বছর ধরে নানা জন জানতে চেয়েছেন, কবে প্রদর্শনী ফের দেখানো হবে। তারামণ্ডল ফের খোলায় খুশি তাঁরাও।
এখন তারামণ্ডলে পরিবেশ-সহ পাঁচটি নতুন বিষয়ের প্রদর্শনী দেখা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনটে ভাষায় শোনা যাবে প্রদর্শনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy