Advertisement
E-Paper

বাবুল উদ্বোধন করার আগেই ভাঙল ফলক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উদ্বোধন করতে আসার আগে নতুন রাস্তার স্মারক ফলক ভেঙে দেওয়া হল রানিগঞ্জের চাপুইয়ে। বুধবার বিকেলে রাস্তাটির উদ্বোধন করেন বাবুল। ট্যুইটে তিনি ফলক ভাঙার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ০০:২৯
ঘটনাস্থলে বাবুল। —নিজস্ব চিত্র।

ঘটনাস্থলে বাবুল। —নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উদ্বোধন করতে আসার আগে নতুন রাস্তার স্মারক ফলক ভেঙে দেওয়া হল রানিগঞ্জের চাপুইয়ে। বুধবার বিকেলে রাস্তাটির উদ্বোধন করেন বাবুল। ট্যুইটে তিনি ফলক ভাঙার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের হৃদয়ে আমরা নাম লিখে দিয়েছি। নোংরামির বিরুদ্ধে এখানে মানুষের মনে কতটা ক্ষোভ জমা হয়েছে, এলাকায় এলেই টের পাওয়া যায়। একের পর এক উদ্বোধন হাইজ্যাক হচ্ছে, ফলক ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমি দমিনি, কাজ করে চলেছি।’’

বাবুলের উন্নয়ন তহবিল থেকে ছ’লক্ষ টাকায় চাপুইয়ের রুইদাসপাড়ায় সাতশো মিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করা হয়েছে। বিজেপি-র আসানসোলা জেলা সাধারণ সম্পাদক মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৫ মে মন্ত্রীর সেটি উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সে দিন আসতে না পারায় বুধবার তা করার সিদ্ধান্ত হয়। মলয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘১৪ মে হঠাৎ সেখানে ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন সিংহ। এর পরে এ দিন দেখি, আমাদের ফলকটি ভাঙা পড়ে রয়েছে। রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’

বিজেপি-র আসানসোল জেলা সহ-সভাপতি সভাপতি সিংহের দাবি, এ নিয়ে ছ’বার এমন ঘটনা ঘটল। সালানপুরের নুনি গ্রামে মন্ত্রীর তহবিলের টাকায় রাস্তা তৈরির পরে তা তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রধান উদ্বোধন করেন। তার পরে পানাগড় বাইপাসে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক আচমকা উদ্বোধন করেন। হিরাপুরে একটি রাস্তা আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং সম্প্রতি গিরমিটে একটি রাস্তা মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় উদ্বোধন করে দেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাবুলের উদ্বোধন করার কথা ছিল।

তৃণমূলের রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি বাবু রায়ের পাল্টা বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টাকা অনুমোদন করে আর কোনও খোঁজ নেননি। পুরনো রাস্তা পাকা করার আগে জটিলতা তৈরি হয়। তা মেটাতে পঞ্চায়েতের ছ’মাস সময় লেগেছে। রাস্তা তৈরি হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে। স্থানীয় বাসিন্দারা উপপ্রধান বিনোদ রুইদাসকে বেশ কিছু দিন ধরে রাস্তা চালুর কথা বলছিলেন। তাই তিনি উদ্যোগী হন।’’ তবে ফলক তাঁদের দলের কেউ ভাঙেননি বলে দাবি করেন। উল্টে তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই এলাকায় সিপিএমের প্রভাব রয়েছে। ওরা ভেঙে থাকতে পারে।’’ সিপিএমের রানিগঞ্জ জোনাল সম্পাদক রুনু দত্ত অবশ্য বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

এ দিন চাপুইয়ে বাবুল গ্রামের ভিতর দিয়ে হেঁটে গেলে কেওটপাড়ার বাসিন্দারা জলের ব্যবস্থার দাবি জানান। বাদ্যকরপাড়ার লোকজন নর্দমার দাবি জানান। পরে বাবুল বলেন, ‘‘আমি বাসিন্দাদের বলেছি, অরাজনৈতিক ভাবে একজোট হয়ে পঞ্চায়েতের কাছে গিয়ে জানতে চান, এ সব সমস্যা কেন মেটানো হচ্ছে না। তার পরে আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ভাবে জানান। আমি ব্যবস্থা নেব।’’

Memorable plate Inauguration
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy