আন্দোলনের কারণ নিয়ে খনিকর্তার তোলা প্রশ্নের বিরোধিতা করল জামুড়িয়ার ‘কেন্দা গ্রামরক্ষা কমিটি’। সম্প্রতি কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নারায়ণ দাস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ব্যক্তিস্বার্থে গ্রামবাসীদের বিভ্রান্ত করে ইসিএলের বিরুদ্ধে জমি আন্দোলন করছেন তৃণমূল নেতা মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাই তথা গ্রামরক্ষা কমিটির সভাপতি বিজু বন্দ্যোপাধ্যায়। এর স্বপক্ষে তিনি কিছু তথ্যও দেন। শনিবার তারই প্রতিবাদ জানান বিজুবাবুরা।
এ দিন বিজুবাবুর দাবি, তাঁদের শরিকি জমি ভাগ হয়নি। বিক্রিও করা হয়নি। সেখানে জোর করে খনি কর্তৃপক্ষ মাটি কাটায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কমিটির সদস্য বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য দাবি করেন, আগে ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনির জন্য ১২টি পরিবারের কাছে ২ একর করে জমি কিনলেও নিয়ম মেনে প্রতি পরিবারের এক জনকে চাকরি দেয়নি ইসিএল। তিন জন হাইকোর্টে মামলা করে জিতেছেন।
মুকুলবাবু অভিযোগ করেন, ‘‘জিএম নানা ভাবে আমাকে অপদস্থ ও হেনস্থা করতে চাইছেন। আমাদের আন্দোলনের পরে প্রশাসনের কর্তারা এসে দেখে গিয়েছেন, কী ভাবে খনির বিস্ফোরণের জেরে বাড়িতে-বাড়িতে ফাটল ধরেছে। পুনর্বাসনই আমাদের মূল দাবি। খনি কর্তৃপক্ষ অন্য দিকে নজর ঘোরাতে চাইছেন।’’
জিএম নারায়ণবাবু এ দিন বলেন, ‘‘আমার যা বলার বিজ্ঞপ্তিতে বলেছি। এ সব নিয়ে আর কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy