Advertisement
E-Paper

দিনেদুপুরে লুঠপাট লগ্নি সংস্থার অফিসে

গ্রাহক সেজে ঢুকে কর্মীদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে একটি বেসরকারি লগ্নি সংস্থার অফিসে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ আসানসোলের ঊষাগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে দিনের আলোয় এমন দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্যের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৬ ০৭:৪১
অফিসে সিসিটিভি নেই কেন, প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

অফিসে সিসিটিভি নেই কেন, প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

গ্রাহক সেজে ঢুকে কর্মীদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে একটি বেসরকারি লগ্নি সংস্থার অফিসে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টে নাগাদ আসানসোলের ঊষাগ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আসানসোল দক্ষিণ থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে দিনের আলোয় এমন দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্যের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও লগ্নি সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে প্রথমে দু’জন গ্রাহক সেজে অফিসে ঢোকে। তারা গাড়ি কেনার কথা বলে সামনের কাউন্টারে এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। সেই ফাঁকে আরও দু’জন ভিতরে ঢোকে। সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ, এর পরেই ওই চার জন কোমরে গুঁজে রাখা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ওই মহিলা কর্মীর মাথায় ঠেকায়। হঠাৎ এমন ঘটনায় কর্মীরা হতচকিত হয়ে পড়েন। দুষ্কৃতীরা তাঁদের পিছনের দিকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে। তাঁদের কাছ থেকে টাকা, গয়না, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ক্যাশ কাউন্টারে রাখা লক্ষাধিক টাকাও হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। কুড়ি মিনিটের মধ্যে কাজ সেরে কর্মীদের ঘরে বন্দি রেখেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।

কর্মীরা জানান, বেশ কিছুক্ষণ পরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে বুঝে তাঁরা বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। এর মধ্যে কয়েক জন গ্রাহক অফিসে হাজির হন। তাঁরা দরজা খুলে দেন। সংস্থাটির এই অফিসের আধিকারিক দেবিপ্রসাদ ঠাকুর বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা কর্মীদের টাকা, মোবাইল-সহ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠ করেছে। আমরা পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’

পুলিশ জানায়, ওই অফিসে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। ফলে, লুঠপাটের কোনও ফুটেজ পাওয়া যায়নি। অফিসটিতে এক জন নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও ঘটনার সময়ে তিনি দুপুরের খাবার খেতে বাইরে গিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ভদ্র সাজপোশাকের ওই দুষ্কৃতীরা বাংলা ও হিন্দিতে কথা বলছিল। তাদের মুখ খোলা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরা আগে থেকে জেনেবুঝে এসেছিল। তারা জানত সেখানে কোনও সিসিটিভি নেই। কেন ওই অফিসে সিসিটিভি লাগানো হয়নি, সংস্থার কাছে তা জানতে চাওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।

কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা সব দিক খোলা রেখেই তদন্ত করছি।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা কীসে এসেছিল, কোন পথে পালিয়েছে তা আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশের একটি দল ঝাড়খণ্ডে গিয়েও তদন্ত শুরু করেছে।

CCTV Miscreants Loot
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy