Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাকা নয়ছয়, নালিশ করায় মার-ভাঙচুর

শৌচাগার না গড়েই টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার— তদন্ত কমিটির কাছে এই অভিযোগ জানাতেই জুটল মারধর, ভাঙচুর।

হামলা: রায়নার বল্লাগ্রামে বাড়িতে ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র

হামলা: রায়নার বল্লাগ্রামে বাড়িতে ভাঙচুর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়না শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৫
Share: Save:

শৌচাগার না গড়েই টাকা তুলে নিয়েছে ঠিকাদার— তদন্ত কমিটির কাছে এই অভিযোগ জানাতেই জুটল মারধর, ভাঙচুর। পরে থানায় যাওয়ার পথে রায়নার বল্লাগ্রামের অশোক ঘোষ নামে ওই যুবককে আবারও মারধর করা হয়। এমনকী, গ্রামের আর কোনও বাসিন্দা যাতে এ নিয়ে মুখ না খোলেন সেই হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

গ্রামবাসীরা কিছু বলতে না চাইলেও তৃণমূলের রায়নার পর্যবেক্ষক তথা বর্ধমানের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত জানান, “স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিক সানার মদতে স্থানীয় অনন্ত ঘোষ নামে এক জন দলের নাম ভাঙিয়ে হামলা চালিয়েছে, শৌচাগারের টাকা নয়ছয় করছে বলে অভিযোগ উঠছে। ওই এলাকার বিধায়ক-সহ সবাইকে ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” যদিও স্থানীয় নতুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্তিকবাবুর দাবি, ‘‘ওই বাড়িতে হামলার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক করা হচ্ছে।” আর অনন্তবাবু জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রয়েছেন।

রায়না ১ ব্লক দফতর সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে নির্মল বাংলা মিশনে শৌচাগার তৈরি হয়েছে দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার টাকা তুলে নিয়েছে বলে জানতে পারেন বল্লাগ্রামের কায়স্থ পাড়ার গ্রামবাসীরা। বিডিও-র কাছে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করেন, গ্রামের ২২০টি শৌচাগার তৈরি না করেই ২২ লক্ষ টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত শুক্রবার থেকে বাড়ি বাড়ি সরেজমিন তদন্তে নামেন ব্লকের কর্তারা। অশোকবাবুর দাবি, “মঙ্গলবার সকালে তদন্তকারী দলের কাছে পুরো ঘটনা জানাই। তারপরেই সন্ধ্যায় আমার বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। তখন কেউ ঘরে ছিলাম না। রাতেও আতঙ্কে ফিরতে পারিনি।’’ তাঁর আরও দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের পরামর্শ মেনে বুধবার থানায় হামলার অভিযোগ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে শ্যামসুন্দর বাজারে তাঁকে ফের মারধর করা হয় বলেও তাঁর দাবি।

এ দিন বল্লাগ্রামের ওই পাড়ায় গিয়েও দেখা যায়, অভিযোগকারীরা তটস্থ হয়ে রয়েছেন। মুখ খুলতে চাইছেন না। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজনের দাবি, ২০-২৫ জন লাঠিয়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে। তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুললেই শাসাচ্ছে। যদিও অভিযোগ মানেননি পঞ্চায়েত কর্তারা। বিডিও অর্ণব রায় বলেন, “সরেজমিন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তদন্ত করছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Money embezzlement Beaten
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE