Advertisement
E-Paper

বকেয়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে আকচা-আকচি

বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে প্রায় ৬৩ লক্ষ। অথচ বকেয়া টাকা মেটাতে হেলদোলই নেই কালনা পুরসভার— এমনটাই অভিযোগ বিদ্যুৎ দফতরের। তাদের দাবি, বারবার চিঠি পাঠানোর পরেও পথবাতির বিল বকেয়া রয়েছে। বাড়ছে লোকসানের বহর। দ্রুত বিল না মেটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৩

বিদ্যুতের বিল বাকি রয়েছে প্রায় ৬৩ লক্ষ। অথচ বকেয়া টাকা মেটাতে হেলদোলই নেই কালনা পুরসভার— এমনটাই অভিযোগ বিদ্যুৎ দফতরের। তাদের দাবি, বারবার চিঠি পাঠানোর পরেও পথবাতির বিল বকেয়া রয়েছে। বাড়ছে লোকসানের বহর। দ্রুত বিল না মেটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের দাবি।

প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার জুড়ে থাকা কালনা পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডেই একাধিক পথবাতি রয়েছে। প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের বিদ্যুৎ বিলও আসে তা বাবদ। কিন্তু ২০১৩ সালের মাঝামাঝি থেকে তৎকালীন পুরবোর্ড আচমকা পথবাতির বিল দেওয়া বন্ধ করে দেয়। উল্টে দাবি করে বিদ্যুৎ দফতররে অজস্র খুঁটি রয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। তার জন্য কর দিতে হবে বিদ্যুৎ দফতরকে। যদিও পুরসভার দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কালনা ডিভিশন জানিয়ে দেয়, আগে বকেয়া মেটাতে হবে। বকেয়া চেয়ে চিঠিও পাঠায়। গোলমাল তখন থেকেই।

যদিও কালনার তৎকালীন পুরপ্রধান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জানিয়ে দেন, পুরসভা রাস্তার আলো জালিয়ে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেয়। তাই অন্য বিল দেওয়া হলেও পথবাতির বিল মেটাবে না পুরসভা। পরে নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে চিঠি পাঠিয়ে বকেয়া চায় বিদ্যুৎ দফতর। এ বছরের ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত নোটিসও পাঠায় কালনা ডিভিশন। তাতে জানানো হয়, বকেয়া পথবাতির টাকা না পেলে সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। তারপরেও পুরসভা বিল মেটাতে উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি আমলাপুকুরে বেশ কিছু পথবাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। যদিও পরে তা জুড়ে দেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ দফতরের কালনা ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার চঞ্চল বিশ্বাস জানান, কালনা পুরসভা পাম্পের বিদ্যুৎ মেটালেও দীর্ঘদিন ধরে পথবাতির বিল মেটাচ্ছে না। বকেয়া চেয়ে অজস্র চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতেও কোন কাজ হয়নি। আমলাপুকুর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া প্রতীকি ছিল বলেও তাঁর দাবি। চঞ্চলবাবু জানান, বিধানসভা ভোট মেটার পরে বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে শহরের সমস্ত পথবাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথাও ভাবা হবে। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় কালনা পুরসভা এলাকায় ১০ কোটি টাকার কাজ করা হয়। ওই টাকা প্রথমে বরাদ্দ হিসেবেই আসে। তবে শর্ত ছিল শহরে লোকসান ১৫ শতাংশের নীচে নেমে গেলে ওই টাকা ঋণে পরিণত হয়ে যাবে। বর্তমানে কালনা পুরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ দফতরের লোকসানের হার ১৬ ৩২ শতাংশ। চঞ্চলবাবুর দাবি, বকেয়া যত বাড়বে লোকসানও তত বাড়বে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা যদি কোনও সময় ঋণে পরিণত হয় তাহলে সংস্থাকে বড় অঙ্কের সুদ গুনতে হবে।

তবে বর্তমান পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের দাবি, ‘‘পথবাতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে পুরসভা আদালতে যাবে।’’ তাঁর প্রশ্ন, সাধারন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে তিন মাসের বিল বাকি থাকলে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। পুরসভার ক্ষেত্রে তা করা হলে বকেয়া এত হত না।

Electricity Bill Envy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy