Advertisement
২৬ মে ২০২৪

রাস্তার টাকা নিয়ে ভিন্ন সুর মন্ত্রী ও সভাধিপতির

রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকা চেয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তাঁর দাবি ছিল, পঞ্চায়েত মন্ত্রী টাকা দিতে রাজিও হয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন রাস্তা তৈরি করে দিতে পারলেও টাকা দিতে পারা যাবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:০৭
Share: Save:

রাস্তা সংস্কারের জন্য টাকা চেয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তাঁর দাবি ছিল, পঞ্চায়েত মন্ত্রী টাকা দিতে রাজিও হয়েছেন। কিন্তু মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন রাস্তা তৈরি করে দিতে পারলেও টাকা দিতে পারা যাবে না।

বর্ষায় জেলার বেশ কিছু রাস্তার হালই বেশ খারাপ, চলাচলের অনুপযুক্ত। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথেও নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খণ্ডঘোষের সরঙ্গা এলাকার মাশিল্যা গ্রামেও কাঁটাপুকুর থেকে কুমীরখোলা রাস্তা অবরোধ করেন বাসিন্দারা। ঘণ্টা দু’য়েকের অবরোধে আটকে দেওয়া হয় বালির গাড়ি। বর্ধমান শহরের কাছে বীরপুরে রাস্তা কেটে দেওয়া, অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তার উপর ঠিকাদারেরাও কোটি কোটি টাকা পাওনা থাকায় অনুমোদন পাওয়ার পরেও রাস্তার কাজে হাত লাগাচ্ছেন না। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, জেলা পরিষদের আর্থিক হাল খারাপ। রাজ্যের সাহায্যের প্রয়োজন। মঙ্গলবার সভাধিপতি ও জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গেও দেখাও করেন।

কলকাতা থেকে ফিরে সভাধিপতি দাবি করেন, ‘‘বিভিন্ন প্রকল্প থেকে রাস্তা তৈরি তো বটেই, আমাদের রাস্তা সংস্কার করার জন্য ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।’’ বুধবার জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে কোন কোন রাস্তা খারাপ তার বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হবে বলেও জানান। কিন্তু দাবির কথা নস্যাৎ করে দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের দফতর থেকে টাকার অনুদান দেওয়া হয় না। বর্ধমান থেকে রাস্তার দাবি নিয়ে এসেছিলেন সভাধিপতি ও জেলাশাসক। তাঁদের দাবি মতো দু’এক দিনের মধ্যে খতিয়ে দেখে কোন কোন রাস্তা সংস্কার করতে পারব জানিয়ে দেব।’’

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, গোটা জেলায় জেলা পরিষদ ৩০০ কিলোমিটার রাস্তার দেখভাল করে। যার মধ্যে নির্বাচনের আগে মাত্র ২৫ শতাংশ রাস্তা সংস্কার করা গিয়েছিল। বাকি ৭৫ শতাংশ রাস্তা সংস্কার করার জন্য আর্থিক অনুমোদন, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা ও গ্রামোন্নয়ন পরিকাঠামো থেকে রাস্তা তৈরির দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সভাধিপতি ও জেলাশাসক তথা জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমিত্র মোহন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। প্রায় ১০০ কোটি টাকা দাবিও করা হয়। কিন্তু প্রস্তাবটি পুরোপুরি না মানায় আবারও রাস্তার হাল নিয়ে চিন্তা রয়েই গেল জেলার মানুষের।

প্রতিবাদ। কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমবিরোধী নীতি ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করল এসইউসিআই ও সিপিএমএল। বুধবার কাটোয়া স্টেশন বাজার থেকে শ’দুয়েক সমর্থক নিয়ে পুরসভার মোড়ে মিছিল শেষ হয়। ছিলেন ট্রেড ইউনিয়নের সম্পাদক বাবলা ভট্টাচার্য, সিপিএমএল নেতা অশোক চৌধুরী। ২সেপ্টেম্বর ধর্মঘট সফল করতেই পথসভা বলে জানান এসইউসিআই নেতা অপূর্ব চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Road construction Municipality
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE