Advertisement
E-Paper

দূরত্বের বাধা সরিয়ে সাহায্য খুদে ছাত্রকে

দু’জায়গার দূরত্বটা অনেক। কয়েকশো কিলোমিটারের। কিন্তু রায়গঞ্জের মসলন্দপুরের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র, পোলিও আক্রান্ত গোরবরু বর্মনের অবস্থার কথা জেনে আসানসোলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরা ঠিক করেন, পাশে দাঁড়াতে হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৩
উপহার: হুইল চেয়ারে সহপাঠীদের সঙ্গে গোরবরু। নিজস্ব চিত্র

উপহার: হুইল চেয়ারে সহপাঠীদের সঙ্গে গোরবরু। নিজস্ব চিত্র

দু’জায়গার দূরত্বটা অনেক। কয়েকশো কিলোমিটারের। কিন্তু রায়গঞ্জের মসলন্দপুরের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র, পোলিও আক্রান্ত গোরবরু বর্মনের অবস্থার কথা জেনে আসানসোলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যেরা ঠিক করেন, পাশে দাঁড়াতে হবে। আর তাই বহু দূরত্ব উজিয়ে মঙ্গলবার ওই ছাত্রের হাতে হুইল চেয়ার তুলে দিল সংগঠনের পাঁচ জন সদস্যের একটি দল।

দিন কয়েক আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়, গোরবরুর পায়ে শারীরিক সমস্যার কথা। কখনও বাবা-মায়ের কোলে চেপে, কখনও বা হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হয় আট বছরের গোরবরুকে। তার দরকার ছিল, একটা হুইল চেয়ারের। কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য তা কেনা হয়ে উঠছিল না। এর পরেই আসানসোলের ওই সংগঠনের সদস্যরা গোরবরুর জন্য হুইল চেয়ার নিয়ে রায়গঞ্জের গ্রামে উপস্থিত হন।

এ দিন ওই দলটি মসলন্দপুর প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের হাত দিয়ে গোরবরুকে হুইলচেয়ার উপহার দিয়েছে। স্কুলের প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির একশো জনেরও বেশি পড়ুয়ার জন্য আসানসোল থেকে তাঁরা নিয়ে যান ফল-মিষ্টি ও অন্যান্য শিক্ষা সরঞ্জাম। এই ঘটনার পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর মাহাতো বলেন, ‘‘এতটা পথ উজিয়ে যে ভাবে ওঁরা আমাদের স্কুলের পাশে দাঁড়ালেন, ভাবা যায় না।’’

গোরবরুর বাবা ঘটুবাবু পেশায় দিনমজুর। ছাত্রটির মা সলিতাদেবী পরিচারিকার কাজ করে দিন গুজরান করেন। এ দিন আসানসোলের ওই সংগঠনের তরফে ঘটুবাবু ও সলিতাদেবীকেও নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের এক সদস্য জানান, ছাত্রটির পরিবারের অবস্থা ভাল নয়। তাই এই উদ্যোগ।

Polio Polio affected NGO wheelchair Asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy