Advertisement
E-Paper

সিদ্ধান্ত হল না, কড়া প্রশ্ন পাঁচ কর্তাকে

বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ স্তরের পাঁচ পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী। তবে দীর্ঘ বৈঠকেও তদন্তের সিদ্ধান্ত হল না এ দিনও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৭ ০২:০৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ স্তরের পাঁচ পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সোমবার কর্মসমিতির বৈঠকে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী। তবে দীর্ঘ বৈঠকেও তদন্তের সিদ্ধান্ত হল না এ দিনও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই পাঁচ জন লিখিত ভাবে তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন। প্রত্যেকেই আরও পনেরো দিন করে সময় চেয়েছেন। সম্পূর্ণ রিপোর্ট চেয়ে পাঠানোর পরে কর্মসমিতি তা মেনে নিয়েছে।’’

এ দিন রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা, ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান মোনালি পালৌধি মিত্র, প্রকাশনা আধিকারিক সন্তু ঘোষ, দূরশিক্ষা বিভাগের সহকারী অধিকর্তা অংশুমান গোস্বামী ও ননীগোপাল সেন হাজির হন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, দুই সহকারী অধিকর্তাকে কর্মসমিতির এক সদস্য প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে চতুর্থ শ্রেণির ছ’হাজার পদের জন্য পরীক্ষা দেয় ২৫ লক্ষ। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধিকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবিদার তিন জন! আপনারা কী ঈশ্বরের দূত!’ জবাব অবশ্য মেলেনি। অভিযুক্তদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। স্নাতকোত্তর করার সময় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন কি না কর্মসমিতির সদস্যরা জানতে চান। কর্মসমিতির এক সদস্য বলেন, “দু’জনের কেউ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি।”

তবে নিয়োগের দেড় বছর পরে কেন তদন্ত হল, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন প্রকাশনা আধিকারিক সন্তু ঘোষ। জানা গিয়েছে, তিনি বেশ জোরের সঙ্গেই ওই বৈঠকে বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশনামা অনুযায়ী ব্যতিক্রমী পরীক্ষার্থীদের বয়সে ছাড় দেওয়ার কথা আছে। সেই নিয়মে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আগেও নিয়োগ করেছে। এখনও ওই নিয়ম মেনেই নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।” তাঁর যুক্তি ছিল, তাঁর নিয়োগের পরে আদালতে মামলা হয়। কিন্তু মামলাটি হাইকোর্টের বিচারকরা খারিজ করে দেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দেয়, প্রকাশনা-আধিকারিক পদে যোগ্যতা সম্পন্নদেরই পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছিল। বয়সের কোনও বিধিনিষেধ ছিল না সেখানে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজার স্নাতকোত্তর স্তরে নম্বর কম থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন কর্মসমিতির সদস্যরা। তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়মের কথা তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও তিনি তুলে দেন। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, তদন্ত রিপোর্টে ‘ব্যাক্তিগত আক্রমণ’ করা হয়েছে বলে রেজিস্ট্রার কর্মসমিতির সদস্যদের কাছে ক্ষোভ দেখান। ডেপুটি লাইব্রেরিয়ানকে অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

The University of Burdwan Fraud
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy