নোট বাতিলের ধাক্কা যে কাটেনি তা নয়, তবু বহু এটিএমেই এখনও নিয়মিত টাকা মিলছে না। গলসির অধিকাংশ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ মাসের গোড়া থেকেই বেসরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনও ব্যাঙ্কের এটিএমেই টাকা পাননি তাঁরা। ‘নো ক্যাশ’ লেখা দেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। যদিও ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের দাবি, যেমন টাকা আসছে সেই মতোই দিচ্ছেন তাঁরা।
গলসি হাজার, পারাজ, পুরসা, গলিগ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও এটিএমে সাটার নামানো, কোথাও লেখা ‘নো ক্যাশ’। আর যেখানে টাকা আছে সেখানে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে মেশিনের কাছে পৌঁছতে পৌঁছতেই টাকা শেষ। আশপাশের এলাকায় গিয়েও কাজ হচ্ছে না বলে তাঁদের দাবি।
পুরসার বাসিন্দা নূর মহম্মদ বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহে দু-তিন বার লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কখনও টাকা না থাকা, কখনও লিঙ্ক ফেলিওরে নগদ হাতে পাননি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বিদ্যুতের বিল দিতে পারিনি। ধার করে বাজার দোকান করতে হচ্ছে।’’
অনেক মহিলাকেই সংসারের কাজ সেরে নিয়মিত ব্যাঙ্ক গিয়ে টাকার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যাচ্ছে। তাঁদের দাবি, মাইনে ঢোকার পর থেকে বড় অঙ্কের টাকাই তোলা যায়নি। মাসকাবারি বাজার থেকে দুধ, খবরের কাগজের বিল বাকি পড়ে রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।
বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, টাকার জোগানই কম। ফলে এটিএমে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মনোজ কুমার বলেন, ‘‘আমাদের হাত পা বাঁধা। উপর থেকে যেমন টাকা আসছে গ্রাহকদের তেমন ভাবেই দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy