Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সব শিক্ষক ব্যস্ত পরীক্ষায়, স্কুল তালা বন্ধ

স্কুল বন্ধ করে সব শিক্ষককে মাধ্যমিক পরীক্ষার গার্ড দেওয়ার জন্য অন্য স্কুলে পাঠিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে শক্তিগড়ের সাফদা হাসমি উচ্চবিদ্যালয়। এভাবে পড়াশুনো শিকেয় তোলা হল কেন, তার উত্তর প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে বলে জানান স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৭ ০০:৪৯
Share: Save:

স্কুল বন্ধ করে সব শিক্ষককে মাধ্যমিক পরীক্ষার গার্ড দেওয়ার জন্য অন্য স্কুলে পাঠিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছে শক্তিগড়ের সাফদা হাসমি উচ্চবিদ্যালয়। এভাবে পড়াশুনো শিকেয় তোলা হল কেন, তার উত্তর প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে বলে জানান স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায়।

মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বলেন, ‘‘নতুন নিয়মে এক-একটি ঘরে গার্ড দেওয়ার জন্য তিন জন করে শিক্ষক প্রয়োজন। ফলে মাধ্যমিকের অনেক কেন্দ্রকেই অন্য স্কুল থেকে শিক্ষক নিতে হচ্ছে। তা বলে সব শিক্ষককে ছেড়ে দিয়ে স্কুল বন্ধ করা ঠিক হয়নি।’’ অভিভাবক ও স্কুল পড়ুয়ারাও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম জার্জিস বলেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল চালানো যেত। এ ভাবে স্কুল বন্ধ রাখা যায় না।’’

স্কুল সূত্রে জানা যায়, শক্তিগড়ের ওই স্কুলে ৬২০ জন পড়ুয়া রয়েছেন। আর প্রধান শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষক আছেন ১৬ জন। এই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র পড়ে না বলে পাশের জ্যোৎরাম উচ্চ বিদ্যালয় শক্তিগড়ের ওই স্কুল থেকে গার্ড দেওয়ার জন্য প্রথমে তিন জন শিক্ষককে চেয়েছিল। তবে শক্তিগড় স্কুলের শিক্ষকদের দাবি, প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষ জ্যোৎরাম স্কুলকে বলেন প্রয়োজনে আরও শিক্ষক দিতে তাঁরা প্রস্তুত রয়েছেন। এর পরে জ্যোৎরাম স্কুলের তরফে ১০জন শিক্ষক চেয়ে পাঠানো হয়। অভিজিৎবাবু জানিয়ে দেন, বাকিদের নিয়ে তো আর স্কুল চালানো যাবে না। ফলে তাঁদেরও গার্ড দিতে নিলে ভাল হয়। এরপরেই প্রধান শিক্ষক ও আরেক জন সহ শিক্ষক ছাড়া বাকি ১৪ জন শিক্ষকই জ্যোৎরাম বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গার্ড দিতে যান।

জ্যোৎরামের ওই স্কুলে ১৪টি ঘরে পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষক রয়েছে ২৬জন। শক্তিগড়ের ১৪ জন শিক্ষককে পেয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের গার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে কোনও অসুবিধে হচ্ছে না তাদের। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবীনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে পরীক্ষার্থীদের গার্ড দেওয়ার জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন ছিল। শক্তিগড়ের সাফাদ হাসমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে এক লপ্তে সব শিক্ষক পেয়ে যাওয়ায় আমাদের সুবিধা হয়েছে।’’

শক্তিগড়ের ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ ঘোষ অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষা ইস্তক স্কুলের ক্লাস বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলের অফিস খোলা রয়েছে। সেখানে অন্যান্য কাজকর্ম চলছে। শিক্ষকরা মাধ্যমিক পরীক্ষার গার্ড দিতে ব্যস্ত রয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik Pariksha School Invigilator
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE