ভাল কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লজে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস। ধৃতের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার মির্জাপুরে। শুক্রবার ভোরে শ্যামসুন্দর বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। তা মঞ্জুর করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তার পর থেকে তিনি মেয়েকে নিয়ে বর্ধমান থানা এলাকায় থাকেন। সংসার চালানো এবং মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগার করতে তিনি কাজ খুঁজছিলেন। সেই সূত্রে তাঁর সঙ্গে অভিযুক্তের পরিচয় হয়েছিল। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ভালে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মহিলাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত। সেখানে মহিলার বেশ কিছু গোপন ছবি তুলে রাখেন তিনি। পরে তিনি সেই ছবি দেখিয়ে মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
এই নিয়ে মহিলা রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। অভিযোগ, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে তিনি আবার মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভাল ব্যবহার করেন। কাজের টোপ দিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি মহিলাকে তিনি বর্ধমান শহরের কার্জন গেট এলাকায় ডেকে পাঠান বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলাকে তিনি শহরের তিনকোনিয়া এলাকার একটি লজে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে মাদক খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। বেহুঁশ অবস্থায় মহিলাকে লজে ফেলে তিনি পালিয়ে যান। পালানোর সময় মহিলার মোবাইলটিও নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। মহিলা সুস্থ হওয়ার পরে রায়না থানায় বিষয়টি জানান। অভিযোগ করে তিনি জানিয়েছেন, অভিষেক পরে এক জনের মাধ্যমে তাঁকে মোবাইলটি ফেরত দেন। তার আগে মোবাইলে যাবতীয় তথ্য তিনি মুছে দেন। রায়না থানা থেকে মহিলাকে বর্ধমান মহিলা থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই মতো তিনি ওই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।