বৈশাখের গোড়া থেকেই মাঝে-মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তার জেরে চাষাবাদ ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। রবি ও সোমবারের ঝড়বৃষ্টিতে তা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ কাঁকসা-বুদবুদের চাষিদের। অনেক জমিতেই জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বোরো ধানের ক্ষতি হবে, মনে করছে ব্লক প্রশাসনও।
সপ্তাহখানেক আগে ঝড়ে কাঁকসা ও গলসি ১ ব্লকে প্রচুর মাটির বাড়ি পড়ে গিয়েছিল। চাল উড়ে যায় অনেক বাড়ির। ফসলেরও বেশ ক্ষতি হয়। দিন তিনেক ধরে বিদ্যুৎহীন ছিল নানা গ্রাম। তার জের কাটতে না কাটতেই পরপর দু’দিনের বৃষ্টিতে ফের ক্ষতির মুখে চাষিরা। গলসি ১ ব্লকে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। অনেক জমির ধানই পেকে গিয়েছে। বহু জায়গায় ধান কেটে মাঠে ফেলে রেখেছিলেন চাষিরা। বৃষ্টিতে সেই সব ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্লক কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হতে বসেছে। ব্লক কৃষি আধিকারিক চিত্যানন্দ সিংহ মুড়া জানান, জমিতে জল জমে যাওয়ায় মাঠে কেটে ফেলে রাখা ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
গলসি ১ ব্লকের পারাজ, রামগোপালপুর, উচ্চগ্রাম, মানকর-সহ বহু এলাকায় ধান ক্ষতির অভিযোগ করেছেন চাষিরা। মানকরের মাড়ো গ্রামের সাধন রুইদাস, তাপস রুইদাসেরা বলেন, ‘‘চাষের উপরে নির্ভর করেই সংসার চলে। ধান মাঠ থেকে এ বছর আর তুলতে পারব বলে মনে হচ্ছে না। খুব লোকসানের মুখে পড়ব।’’ কাঁকসা ব্লকে বোরো ধানের চাষ খুব একটা হয় না। তবে ঝড়ে সিলামপুর, আনন্দপুরের মতো এলাকায় ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে আনাজ চাষে এই বৃষ্টি সহায়ক হবে বলে ব্লক কৃষি দফতর জানায়।
কালনা ও কাটোয়াতেও ক্ষতি হয়েছে। কালনা কৃষি দফতরের হিসেবে, মোট ৩৬,০২৭ হেক্টরে বোরো চাষ হয়। তার মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৩১,০৩১ হেক্টরে। কাটোয়ায় খেতে জল জমার পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়িও ভেঙে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy