মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে পরপর শিবির করে সমবায় সংস্থার সঙ্গে অত্যাবশকীয় পণ্য নিগম ও চালকল মালিকদের মধ্যে চুক্তি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরেও সমবায় সংস্থাগুলি ধান কেনার জন্য চুক্তি করতে উৎসাহী হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ফের রাজ্যের সমবায় দফতরের প্রধান সচিব এম ভি রাও বৈঠক করে বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের ধান কিনতে সহযোগিতা করার কথা বলেন। জেলা প্রশাসনও ঢাকি ও লোকশিল্পীদের মাধ্যমে প্রচারে জোর দিয়েছে।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছর প্রায় তিনশোটি সমবায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ধান কিনতে নেমেছিল। সংগৃহীত ৩৭ হাজার মেট্রিক টনের মধ্যে প্রায় তিরিশ হাজার মেট্রিক টন চাল এসেছিল সমবায়গুলির মাধ্যমে। সেখানে এ বার দু’মাসেও অত্যাবশকীয় নিগমের সঙ্গে ৩১টি সমবায় ও বেনফেডের সঙ্গে মাত্র ১৮টি সমবায় চুক্তি হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক দেবমাল্য বসু্র আক্ষেপ, ‘‘চুক্তি করার পরেও ধান কিনতে চাইছে না সমবায়গুলি।’’
জেলা চালকল মালিক সমিতির সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘ধান বিক্রি নিয়ে চাষি ও সমবায়গুলির মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। তা না কাটলে ধান পেতে সমস্যা হবে।’’ সমবায় কর্তাদের দাবি, গত বছর ধান বিক্রি করে টাকা পেতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে। এখনও টাকা না আসায় অনেক চাষিই টাকা পাননি বলে তাঁদের দাবি। এ বারে চাষিদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢোকা নিয়েও প্রশ্ন করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ‘‘যেহেতু আমরা ধান কিনব, তাই টাকা পেতে দেরি হলে চাষিরা আমাদেরই চেপে ধরবেন।’’ যদিও সমবায় দফতরের প্রধান সচিবের আশ্বাস, ধান কিনতে মাঠে নামলেই সব উত্তর মিলবে।
জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন এ দিন বলেন, ‘‘সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে গ্রামে গ্রামে ঢাকি ও লোকশিল্পীর মাধ্যমে প্রচার করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy