Advertisement
E-Paper

কল্যাণপুরে ভাঙা সেতু দিয়েই দিব্যি চলছে গাড়ি

টানা বৃষ্টিতে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে কালনা ২ ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কেলনই গ্রামের সেতু। তার সঙ্গে বেহুলা নদীর জল বাড়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেতুর পাশের রাস্তাও। ফলে যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত কুড়িটি গ্রামের বাসিন্দা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫৩
এই সেতুই ব্যবহার করেন নানা গ্রামের বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

এই সেতুই ব্যবহার করেন নানা গ্রামের বাসিন্দারা। নিজস্ব চিত্র

ভাঙাচোরা সেতুতে ভারী যানবাহন চলায় নিষেধ রয়েছে। বিপদ এড়াতে সেতুর পাশ দিয়ে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে আলাদা রাস্তা। তার পরেও বিপদ কাটেনি। টানা বৃষ্টিতে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে কালনা ২ ব্লকের কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কেলনই গ্রামের সেতু। তার সঙ্গে বেহুলা নদীর জল বাড়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেতুর পাশের রাস্তাও। ফলে যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত কুড়িটি গ্রামের বাসিন্দা।

মালিকেলনই, কেলনই, একচাকা, খাগরাকুর, বেগুনিয়া, দফরপুর, মোমিনপুর, মহেশ্বরপুর, কাশিপুর, পাতা, ছোটপাতা, বহরকুলি, দামপাড়া, দক্ষিণ দুর্গাপুর মতো বহু গ্রামের মানুষে প্রায় ৪০ ফুট লম্বা এই সেতুটি ব্যবহার করেন। চাষিরাও মাঠ থেকে ফসল তুলে আনা, সেই ফসল বিক্রির জন্য ট্রাক্টরে চাপিয়ে এই সেতুর উপরে দিয়ে শহর লাগোয়া নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির পাইকারি বাজারে নিয়ে যান। বেহুলা নদীর উপরের এই সেতুর দিয়ে চলে অটো, টোটো-সহ বেশ কিছু যাত্রীবাহী গাড়িও। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বছর সাতেক ধরেই সেতুটির অবস্থা সঙ্গীন। নীচের কংক্রিটের থামগুলি ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। থামের গায়ে দেখা দেখা দিয়েছে লম্বা ফাটল। দু’দিকের গার্ডওয়ালও আস্ত নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, ভেঙেচুরে নষ্ট হয়ে যাওয়া সেতুটির একটি দিক হেলে গিয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনিক উদ্যোগে সেতুর পাশ দিয়ে একটি রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু ভারী বর্ষা হলেই সেই রাস্তা জলে নষ্ট হয়ে যায় বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ।

এ বারও ভারী বৃষ্টির জেরে সেতুর পাশের রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জলের চাপে যে কোনও সময় আস্ত সেতুটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়তে পারে বলে বাসিন্দাদের আশঙ্কা। এলাকার নরেশ হাজরা, পরেশ কর্মকারেরা বলেন, ‘‘কাছাকাছি মালিকেলনই এবং বেগুনিয়া গ্রামের মাঝে একটি কালভার্ট ছিল। সেটি দিয়েও অনেকে যাতায়াত করতেন। কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় আরও সমস্যা দেখা দিয়েছে।’’ তাঁদের দাবি, কেলনই গ্রামের সেতুটি ব্যবহার না করলে অনেককেই প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যেতে হয়। তাই ঝুঁকি জেনেও বাধ্য হয়ে তাঁরা বিপজ্জনক সেতুটি ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বহু দিন ধরে নতুন সেতু তৈরির আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। নতুন সেতু তৈরির জন্য মাপজোকও হয়েছে। তবে কাজই শুরু হয়নি।

সেতুর দুর্দশার কথা স্বীকার করেছে জেলা পরিষদ। বিদায়ী জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘সেচ দফতর কেলনই গ্রামের সেতুটি তৈরি করবে। এর জন্য ৩ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’ সেতুর পাশের নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তাটি পুর্ত দফতর তৈরি করবে বলেও তাঁর আশ্বাস।

Bridge Kalna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy