পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধায় এখনও জাঁকিয়ে বসতে পারেনি শীত। এ বার কিছুটা ভিন্ন আবহে কালনায় শুরু হল খাদ্য ও পিঠেপুলি উৎসব। রবিবার শহরের পুরনো বাস স্ট্যান্ড এলাকার হিমঘরের মাঠে শুরু হওয়া উৎসবে রয়েছে নানা স্বাদের পিঠে। উদ্বোধনের পরে লাইন দিয়ে সে সবের স্বাদ নিতে দেখা গিয়েছে প্রচুর মানুষকে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বার উৎসবের বাড়তি পাওনা নামী শিল্পীদের গান। উৎসব এ বার যা ১১ বছরে পা দিয়েছে।
মেলায় মিলছে গরম পাটিসাপটা, দুধ পুলি, সাঁঝের পিঠে, ভাজা পিঠে, পাস্তা, বেবিকর্ন, চিকেন চটপটা-সহ নানা খাবার। উদ্যোক্তাদের দাবি, পিঠে তৈরির জন্য আনা হয়েছেদক্ষ কারিগর। বেশ কিছু পিঠেয় দুধের সঙ্গে মেশানো হয়েছে খাঁটি নলেন গুড়। দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই। এ বার উৎসবে নতুন সংযোজন সাঁজের পিঠে। খেয়ে বেশ ভাল লাগছে। প্রাঙ্গণের বাইরেঅনেকে চালের গুড় এবং নারকেল দিয়ে তৈরি করছেন ধুকি পিঠে-সহ কয়েক রকম পিঠে।
মাঠের শেষ প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সেখানে প্রত্যেক দিন রাতে কলকাতা এবং মুম্বইয়ের নামী শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন বলে জানান উদ্যোক্তারা।
উৎসব প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে মুখে পিঠে পুরে কলেজ পড়ুয়া সোমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দারুন স্বাদ এখানকার পিঠের। সব থেকে ভাল দিক হল, উৎসব প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।’’
সন্ধ্যায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ছিলেন শিল্পদ্যোগী সুশীল মিশ্র, মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের সদস্য দেবু টুডু, আরতি হালদার, কলকাতা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা অভিনেত্রী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, কালনা ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রণব রায়। অতিথিদের দেওয়া হয় কালনা শহরের বিখ্যাত মিষ্টি নলেন গুড়ের মাখা সন্দেশ।
সুশীল বলেন, ‘‘উৎসব যখন শুরু হয়েছিল, তখন বোঝা যায়নিএটা এত জনপ্রিয় হবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)