Advertisement
E-Paper

‘সফল’ লকডাউন, পাকড়াও ৩১৬ জন

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন-বিধি ভাঙার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩১৬ জনকে ধরা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
শুক্রবার ‘লকডাউন’-এ শুনশান রানিগঞ্জের পথঘাট। নিজস্ব চিত্র

শুক্রবার ‘লকডাউন’-এ শুনশান রানিগঞ্জের পথঘাট। নিজস্ব চিত্র

নির্বিঘ্নেই মিটিল শুক্রবারের ‘লকডাউন পর্ব’। পরপর দু’দিন লকডাউন ঘোষণায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বৃহস্পতিবারই জেলার বিভিন্ন বাজার, দোকানে ভিড় উপচে পড়েছিল। কারণ, তখনও শনিবারের ‘লকডাউন’ প্রত্যাহার হয়নি। তাই শুক্রবার খুব প্রয়োজন ছাড়া, বাড়ির বাইরে মানুষজনকে খুব একটা বেরোতে দেখা যায়নি।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন-বিধি ভাঙার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩১৬ জনকে ধরা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) সায়ক দাস জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নির্দিষ্ট ধরায় ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, সার্বিক ভাবে ‘লকডাউন’ সফল করায় জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জেলাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ দিকে উৎসবের দিনগুলিতে ‘লকডাউন’ আর না বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন আসানসোল-সহ জেলার শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। এই অবস্থায় শনিবার ‘লকডাউন’ প্রত্যাহার হওয়ায় খুশি তাঁরা। তবে শুক্রবার ‘লকডাউন’ সফল করতে বৃহস্পতিবার পুলিশ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রচার চালায়। ঝাড়খণ্ডে ‘আনলক পর্ব’ চলায় এ দিন সীমানায় কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, অবাধ যাতায়াত রুখতে বরাকর, ডুবুরডিহি, রূপনারায়ণপুর বিহার রোড ও বারাবনির রুনাকুড়া ঘাটের সীমানা পুরোপুরি ‘সিল’ করা ছিল।

প্রায় একই চিত্র দুর্গাপুর মহকুমায়ও। তবে কিছু কিছু জায়গায় দু’-একটি দোকানপাট খুলেছিল। দুর্গাপুর ব্যারাজ এলাকায় মাছের বাজার বসেছিল। খুলেছিল মুড়ি, তেলেভাজার দোকান। পুলিশ গিয়ে সেগুলি বন্ধ করে দেয়। বিভিন্ন নির্মীয়মাণ আবাসনের ভিতরে কম-বেশি কাজ হয়েছে। নির্মাণকর্মীরা জানান, লকডাউনের জেরে তাঁরা কাজ পাননি। এখন তাই লকডাউনের দিনেও স্বাস্থ্য-বিধি মেনে কাজ করছেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, এমন কোনও ঘটনা নজরে আসেনি।

LOckdown Asansol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy