প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে আসার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ছয় যুবককে। সোমবার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় আরপিএফের গোয়েন্দা অফিসারেরা তাদের হাতেনাতে ধরে। ধৃতদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশ দিনে এ নিয়ে ১৩ জনকে ভুয়ো নিয়োগপত্র-সহ ধরা হল। আরপিএফের অফিসারেরা জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, ধৃতেরা প্রতারণার শিকার। একটি প্রতারণা চক্র সম্প্রতি চিত্তরঞ্জনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে তাঁরা জেনেছেন। অভিযান চালিয়ে দিন দশেক আগে এক জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় আরপিএফ। আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে বলে আরপিএফ জানায়।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে হাওড়া ও হুগলি থেকে ছয় যুবক কারখানার প্রশাসনিক ভবনে নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে আসেন। কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হওয়ায় খবর দেওয়া হয় আরপিএফের গোয়ান্দা দফতরে। অফিসারেরা জানান, যুবকদের কাছে যে নিয়োগপত্রগুলি ছিল, খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই সেগুলি জাল। কিন্তু পাঁচ জনের হাতে আরপিএফের নিয়োগপত্র থাকায় জাল বলে ধরা পড়ে যায়। কারখানার আরপিএফের সিনিয়র কম্যান্ড্যান্ট বি কে সিংহ বলেন, ‘‘তদন্তে জেনেছি, ওই যুবকেরা প্রতারণার শিকার। মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নিয়োগপত্র পেয়েছে তারা।’’ আরপিএফের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, প্রতারককে তারা অগ্রিম বাবদ আড়াই-তিন লক্ষ টাকা করে দিয়েছে।
সিনিয়র কম্যান্ড্যান্ট জানান, দিন দশেক আগে এ ভাবেই ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কারখানায় চতুর্থ শ্রেণির পদে যোগ দিতে আসে সাত যুবক। তাদের জেরা করে অভিজিৎ রায় নামে রূপনারায়ণপুরের কল্যাণগ্রাম এলাকার এক বাসিন্দার সন্ধান পায় আরপিএফ। অফিসারদের দাবি, জেরায় অভিজিৎ প্রতারণার কথা স্বীকার করে। এখন সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তাকে জেরা করে আরও দু’জনের সন্ধান মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এক সময়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। এলাকায় অনেকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় তাকে কাজ থেকে সরানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy