Advertisement
E-Paper

দুর্ঘটনার পরে পথে পুলিশ

পড়ুয়া-শিক্ষিকাদের টানা অবরোধে টনক নড়ল পুলিশের।দুর্ঘটনার পরে বৈঠকে দেওয়া আশ্বাস মেনে বুধবার স্কুল শুরু ও শেষে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রসুলপুরে পুলিশ রাখে মেমারি থানা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের সংশয়, কয়েক দিন পার হলেই পরিস্থিতি আগের মতো হয়ে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:২২
দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

পড়ুয়া-শিক্ষিকাদের টানা অবরোধে টনক নড়ল পুলিশের।

দুর্ঘটনার পরে বৈঠকে দেওয়া আশ্বাস মেনে বুধবার স্কুল শুরু ও শেষে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য রসুলপুরে পুলিশ রাখে মেমারি থানা। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের সংশয়, কয়েক দিন পার হলেই পরিস্থিতি আগের মতো হয়ে যাবে। পুলিশেরও দেখা মিলবে না। যদিও জেলা পুলিশের কর্তারা জানান, ওই জায়গায় স্থায়ী ভাবে যান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার শিক্ষকের কাছে পড়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় সাইকেল থেকে পড়ে যায় বছর তেরোর কোয়েল বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় পড়ে যেতেই সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মাথা থেঁতলে দেয় ট্রাকটি। পরে ট্রাকটি ধাওয়া করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যান নিয়ন্ত্রণের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় দু’টি স্কুলের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পুলিশ দাবি মানার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। ওই ঘটনার জেরেই এ দিন সকাল ৯টা থেকে রসুলপুর বাজারে যান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাস্তায় পুলিশ নামে। দু’ঘন্টা থেকে তাঁরা চলে যান। ফের স্কুল ছুটির সময় বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত যান নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় পুলিশকে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছর ৭ এপ্রিল মাধবী মল্লিক নামে এক কলেজ ছাত্রী ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান। তখনও জনতা উত্তেজিত হয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও আমের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছিলেন। অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে জনতার খন্ডযুদ্ধ বাধে। অবরোধকারীদের সরাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। তারপরে কিছু দিন যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে পুলিশ। কিন্তু মাস খানেক যেতেই পরিস্থিতি যে কে সেই।

এ দিন স্থানীয় বৈদ্যডাঙা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুতপা সিংহরায় বলেন, “গত কয়েক বছরে চার ছাত্রী রসুলপুরেই ট্রাকের ধাক্কায় মারা গিয়েছে। সে জন্যই আমরা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে যান নিয়ন্ত্রণের সুষ্ঠু ব্যবস্থার দাবি করেছি।” রসুলপুরের বাসিন্দারাও জানান, গত এক বছরে ওই দুই ছাত্রী ছাড়াও আরও দু’জন মানুষের প্রাণ হারিয়েছেন। এখন প্রাণের বিনিময়ে পাওয়া পাহারায় কতটা কাজ দেয়, সেটাই দেখার।

Police Accident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy