ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট আর এটিএমের তথ্য জানিয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম কর্মসচিব বা জয়েন্ট রেজিস্ট্রার দেবীদাস মণ্ডল। ফল, অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা।
ঘটনা দুই: বর্ধমানের ছোটনীলপুরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা বদনচন্দ্র ঘোষালও তাঁর মেয়ের এটিএম সংক্রান্ত তথ্য এবং মোবাইলে আসা ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) প্রতারকদের জানিয়ে ফেলেছিলেন। এর পরেই কয়েক দফায় অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।
এমন ঘটনার কথা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ। পুলিশকর্তাদের দাবি, এই ঘটনাগুলিই বেশি মাথাব্যথার। কারণ, দেখা গিয়েছে এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন সমাজের ‘শিক্ষিত’ ও ‘বিশিষ্ট’রা। এই সব ঘটনা রুখতেই জেলা পুলিশ জানায়, প্রতিটি থানায় কলেজ পড়ুয়া ও বিশিষ্টদের নিয়ে সচেতনতা-বিষয়ক আলোচনা হবে। সেখানে এটিএম-প্রতারক ও সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকারক দিকগুলি থেকে কী ভাবে বাঁচা যাবে, তার পথ বাতলাবেন পুলিশকর্তা ও সাইবার-বিশেষজ্ঞরা।