অটোয় পড়ুয়া আনা-নেওয়া চলছেই। সোমবার আসানসোলে শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।
পুলকার চালক ও মালিকদের জন্য আসানসোলে নির্দিষ্ট নিয়ম বেঁধে দিতে চলেছে প্রশাসন। তাঁরা এই নিয়ম মানছেন কি না, তা নিয়মিত দেখভালের জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের কাছেও আবেদন করলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী। সোমবার তিনি বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে একটি নাগরিক সম্মেলনেরও আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার আসানসোল-বার্নপুরের প্রায় কুড়িটি স্কুলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রলয়বাবু জানান, শহরের একাধিক স্কুল নিজেরাই স্কুলবাস বা পুলকার ভাড়া নিয়ে পড়ুয়া আনা-নেওয়া করেন। ওই সব পুলকার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রাস্তায় চলছে কি না, তা দেখার প্রাথমিক দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষেরই। অভিভাবকেরা মাসিক চুক্তিতে যে সব পুলকারে পড়ুয়াদের পাঠান, সেই গাড়িগুলি দেখভালের ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরই প্রাথমিক খোঁজখবর রাখতে হবে। তাঁদের এই কাজে উৎসাহ দেবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মহকুমাশাসকের দাবি, তাঁর এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বৈঠকে হাজির স্কুল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার থেকে প্রত্যেকটি স্কুলের ভাড়া নেওয়া গাড়িগুলির কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সব ঠিক থাকলে তা গাড়ির গায়ে স্টিকার সাঁটিয়ে লিখে দিতে হবে। অভিভাবকদের সঙ্গে সভা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ মহকুমাশাসকের এই নির্দেশিকা জানিয়ে দেবেন।
মহকুমাশাসক জানান, পুলকারের চালক বা মালিকদের বৈধ কাগজপত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য বিশেষ শিবির করা হবে। অল্প সময়ের মধ্যে মহকুমা প্রশাসনই বর্ধমান থেকে কাগজপত্র করিয়ে এনে দেবে। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় পুলকারের বৈধতা দরকার। সে কথা প্রথমে অভিভাবকদেরই ভাবতে হবে।’’ প্রশাসনের তরফেও এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
সোমবার থেকে বাসের রুটে অটো চলাচলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এ দিন আসানসোলে নির্দিষ্ট রুট ছাড়া অন্যত্র অটো চলতে বিশেষ দেখা য়ায়নি। তবু মাঝে-মধ্যে মিনিবাসের রুটে অটো ঢুকে পড়েছে, এমন অভিযোগ পেয়েই প্রশাসন তিনটি অটো পাকড়াও করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy