শহরের পথ। নিজস্ব চিত্র
ভোট আসে, বর্ষা যায়। কিন্তু রাস্তার হাল ফেরে না। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ধমানের জিটি রোড ও রেল উড়ালপুলের আলোর তথৈবচ অবস্থা। কখন আলো জ্বলে, টের পাওয়া যায় না। আবার পুজোর আগে রাস্তার শ্রী ফিরবে কি না, প্রশ্ন তাঁদের।
বেহাল রাস্তায় পুজোর বাজারে য়ে কখনও হোঁচট খাচ্ছেন, কখনও টোটো থেকে পড়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। পুরপ্রধান পরেশ সরকারের আশ্বাস, পুজোর আগে সব কাজ হয়ে যাবে। যদিও বিরোধী শিবির তো বটেই, তৃণমূলের কিছপ কাউন্সিলরেরও দাবি, পরিকল্পনাহীন ভাবে রাস্তায় খোঁড়ায় অসুবিধা হচ্ছে। আশ্বাস পূরণ মুশকিল।
কেন্দ্রের ‘অটল মিশন ফর রেজুভেনেশন আরবান ট্রান্সফর্মেশন’ প্রকল্পে দামোদরের বালিতে সঞ্চিত জল পরিস্রুত করে শহরে বাড়ি-বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা পুরসভার। সে কাজের জন্য শহরের রাস্তা খুঁড়ে নতুন পাইপ বাসনোর কাজ শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু রাস্তা আর সারেনি। বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিনই দুর্ভোগ চলছে। দেবী দর্শনেও না বিপদ ঘটে! টোটো, মোটরবাইক, সাইকেল চালকদেরও দাবি, ‘‘যে ভাবে রাস্তা কাটা হয়েছে, তা ভয়ঙ্কর। পুজোর বাজারে গিয়ে ইতিমধ্যে বড়বাজার, তেঁতুলতলা বাজারে দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, নীলপুর, ইছলাবাদ, খোসবাগান, বেড়, নতুনগঞ্জ, আলমগঞ্জ, হাসপাতালের রাস্তা, জিটি রোডের ধার, কাঁটাপুকুর, সর্বমঙ্গলাপাড়া, কালনা গেট, খালাসি পাড়া, তেঁতুলতলা বাজার-সহ বেশ কিছু রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। অভিযোগ, পাইপ বসানোর পরে উঁচু করে মাটি চাপা দিয়ে ইটের টুকরো ফেলা হয়েছে। চলাফেরা করাই দায়। শহরে সরু রাস্তায় যানজট বাড়ছে। সমাজ-মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভও জানাচ্ছেন অনেকে।
জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দারের টিপ্পনী, ‘‘পুরসভা রাস্তায় যেন দোলনা পেতে রেখেছে।’’ পেশায় অস্থি চিকিৎসক, বিজেপি নেতা সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘রাস্তার গর্তে পড়ে আহত অনেক রোগী আসছেন। পুরসভা কী করছে, সেটাই প্রশ্ন।’’
পুরভোটের আগে-পরে পুরসভা রাস্তা সারানোর আশ্বাস দিয়েছিল। এখনও পুরপ্রধানের আশ্বাস, ‘‘বড় পুজোগুলির সামনের রাস্তা পুরসভা ঠিক করে দেবে। বাকি রাস্তা চলাচলের উপযুক্ত করতে আম্রুত প্রকল্পের এজেন্সিকে বলা হয়েছে। কাজ শুরু হয়েছে।’’ পুজোর সময়ে রাস্তায় যাতে আলো নিরবিচ্ছিন্ন জ্বলে, সে ব্যবস্থা হয়েছে, দাবি পুরসভার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy