অতিরিক্ত হাম্প বা স্পিড ব্রেকার বসানোর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে, ক্ষতি হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশের, অভিযোগ আসানসোলের বাস ও মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের। দু’টি বাস সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে ১৯ এপ্রিল জেলা প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের কাছে প্রতিকারের আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এমন আবেদন এখনও তাদের কাছে পৌঁছয়নি। তা পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
বাস সংগঠন সূত্রের দাবি, আসানসোল থেকে বরাকর (পুরনো জিটি রোড) ১৭ কিলোমিটার রাস্তায় ৪১টির বেশি এবং আসানসোল থেকে জুবিলি মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তায় ২০টির বেশি হাম্প অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বসানো হয়েছে। সেগুলি পূর্ত দফতর বসিয়েছে বলে তারা জেনেছে। তাদের দাবি, আধুনিক প্রযুক্তির যুগে হাম্প বসানোর রীতি বদলে গিয়েছে। এ নিয়ে আদালতেরও আপত্তি রয়েছে। অথচ, এখানে ফাইবারের হাম্প বসানো হয়েছে। বেশির ভাগ ফাইবারের হাম্প ফেটে গিয়েছে। তাতে ভিতরের লোহার যন্ত্রাংশ বেরিয়ে বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। সেগুলি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। অল্প দূরত্বের রাস্তায় মাত্রাতিরিক্ত হাম্প থাকায় গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। বাস, মিনিবাসের যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলেও অভিযোগ।
ওই দুই বাস সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় ও সুদীপ রায় জানান, অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হাম্প না বসিয়ে, রাস্তায় লোহার ব্যারিকেড বসানো হোক। বেশ কিছু ব্যস্ত এলাকায় বাসিন্দাদের চাহিদা থেকে হাম্প বসাতে হয়। এই সব এলাকায় লোহার ব্যারিকেড বসিয়ে ‘রোড ব্লকার’ হিসেবে ব্যবহার করা হোক। তাতে যানবাহনের গতি স্বাভাবিক ভাবেই কমে যাবে। ফলে, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তা ছাড়া, ওই ফাইবারের অবৈজ্ঞানিক হাম্প খারাপ হওয়ার সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। তার সঙ্গে বাড়বে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, প্রধান রাস্তায় তাঁরা নিজে থেকে কোথাও হাম্প বসান না। এটা তাঁদের কর্মসূচিতে নেই। পুলিশ বা জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিলে, তখন তাঁরা হাম্প বসান। তবে এই হাম্পগুলি তাঁরা বসাননি বলে দাবি তাঁর। ডিসিপি (ট্র্যাফিক) পিবিবি সতীশ জানান, হাম্প নিয়ে কোনও অভিযোগ এখনও তাঁরা পাননি। অভিযোগ পেলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)