জেলা গঠনের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় আড়াই মাস। কিন্তু নবগঠিত পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর এখনও গড়ে ওঠেনি। সেই সব দফতরের কাজ হচ্ছে বর্ধমান শহর থেকেই। ফলে, সাধারণ মানুষজন থেকে সরকারি কর্মী-আধিকারিক, সমস্যায় পড়ছেন সকলেই। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে কর্মীদের একাংশ সম্প্রতি অসন্তোষও জানিয়েছেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরীর অবশ্য আশ্বাস, শীঘ্রই এই সমস্যা মিটে যাবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরইএজিএস, পরিবহণ, ভূমি অধিগ্রহণ, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন-সহ কয়েকটি দফতরের জেলা কার্যালয় এখনও তৈরি হয়নি। বর্ধমান থেকেই এই দফতরগুলির কাজ পরিচালনা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই সব দফতরগুলির কাজ দেখাশোনার ভার রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলা আধিকারিকদের উপরেই। ফলে, দুই জেলার কাজ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন তাঁরাও। কাজে গতিও আসছে না বলে কর্মী-আধিকারিকদের অনেকের দাবি।
প্রশাসনের এক কর্তার মতে, নতুন জেলায় পূর্ণ সময়ের জন্য পরিবহণ, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কার্যালয় দ্রুত তৈরি করা উচিত। কারণ, প্রায় দিনই এই শিল্পাঞ্চলে অটো-টোটো-মিনিবাসের দ্বন্দ্ব বাধছে। তার স্থায়ী সমাধান করতে হলে জেলা আধিকারিকের নিয়মিত হস্তক্ষেপ দরকার। দ্বিতীয়ত, নতুন এই জেলা গঠিত গ্রাম ও শহরের সমন্বয়ে। শহরের উন্নয়নমূলক কাজকর্মের জন্য দু’টি পুরসভা রয়েছে। গ্রামীণ এলাকার জন্য রয়েছে জেলা পরিষদ। নতুন জেলা পরিষদ গঠনও হয়েছে। এখন যত তাড়াতাড়ি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন জেলা দফতর তৈরি হবে, জেলা পরিষদের কাজ আরও ভাল হবে।
প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের দাবি, সব দফতর তৈরি না হওয়ায় নতুন জেলা গঠনের পরে পরিষেবা পেতে বাসিন্দারা যেমন হয়রান হচ্ছেন, তেমনই ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়নমূলক কাজকর্মও। দিন কয়েক আগে জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি এই সমস্যা মেটাতে আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বিশেষ বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয়বাবু বলেন, ‘‘অধিকাংশ দফতরের কাজই এখান থেকে হচ্ছে। বাকিগুলির কাজও খুব দ্রুত শুরু হয়ে যাবে।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাশাসকের কার্যালয়ের কাছাকাছি অন্য জেলা দফতরগুলিকে তুলে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আপাতত কল্যাণপুরে বহুতল শ্রম ভবন ও অসামরিক প্রতিরক্ষা ভবনে অস্থায়ী ভাবে কয়েকটি দফতরের কার্যালয় তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক জানান, এর ফলে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজে আরও সমন্বয় আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy