Advertisement
০১ মে ২০২৪
ecl

কমেছে কয়লা চুরির মামলা, আর্থিক লাভে তবু লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে ইসিএল

গত কয়েক বছরে কয়লা চুরির বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল ইসিএলের পক্ষ থেকে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় সেই অভিযোগগুলি দায়ের হয়েছিল।

image of coal mine

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩০
Share: Save:

এক দিকে কয়লা চুরির মামলার সংখ্যা কমেছে। অন্য দিকে কয়লা উত্তোলনেও লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে ইসিএল। আসানসোলে কোলিয়ারির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই দাবি করলেন ইসিএলের সিএমডি (চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর) সমীরণ দত্ত।

গত কয়েক বছরে কয়লা চুরির বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল ইসিএলের পক্ষ থেকে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় সেই অভিযোগগুলি দায়ের হয়েছিল। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কয়লা চুরির সেই মামলার সংখ্যা ৬০০র বেশি। ইসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়লা চুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার প্রমাণ মামলার সংখ্যায় হ্রাস। যদিও কয়েক দিন আগে বারাবনিতে কয়লা চোরদের সঙ্গে ইসিএল নিরাপত্তা বাহিনী সংঘর্ষ হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন। গাড়ি ভাঙচুর হয়। এই ঘটনাটিকে ইসিএল কর্তৃপক্ষ বিক্ষিপ্ত বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই দাবি করছেন।

২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের প্রথম সাড়ে দশ মাসে ইসিএল হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল, পাঁচ কোটি ১০ লক্ষ টন কয়লা উত্তোলনের। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন কোটি ৯০ লক্ষ টন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। আর্থিক বছর শেষ হতে বাকি দেড় মাস। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ইসিএল লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে তো? সাংবাদিক বৈঠকে ইসিএল সিএমডি দাবি করেছেন, আগামী দেড় মাসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লক্ষ্যমাত্র পূরণ করা হবে। আরও নতুন নতুন প্রযুক্তি আনা হচ্ছে ইসিএলে। ইসিএলের রাজমহল প্রকল্প থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। রাজমহলে আরও একটি নতুন প্রকল্প শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন সিএমডি। প্রতিদিন দু’ থেকে আড়াই লক্ষ টন কয়লা উত্তোলন হচ্ছে।

অতিমারির জন্য গত দু’টি আর্থিক বছরে পর পর ইসিএলের লোকসান হয়েছে। প্রথমবার ১০০ কোটি, দ্বিতীয়বার ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফলে ইসিএলের বিভিন্ন এলাকার খনিগুলিতে কয়লার উৎপাদন বৃদ্ধি করা ছাড়া সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার আর কোনও উপায় ছিল না। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে তিনটি নতুন কোলব্লক দেওয়ার জন্য লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছিল কয়লামন্ত্রকের তরফে। ৩৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে তিনটি কোলব্লক ইসিএলকে দিয়েছিল কয়লামন্ত্রক। মন্ত্রকের কাছে পাঁচটি নতুন কোলব্লক ইসিএল চেয়েছিল। কিন্তু তিনটির অনুমোদন মেলে। এই মূহূর্তে ওই ব্লকগুলিতে ড্রিলিং এর কাজ শুরু হয়েছে। এই ব্লকগুলির কাজ শুরু হলে আগামী দিনে কোলইন্ডিয়ার মধ্যে এক নম্বর প্রতিষ্ঠান হিসাবে স্বীকৃতি পেতে পারে ইসিএল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ecl Coal Mine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE