দ্রষ্টব্য: হুসেন শাহ’র আমলে তৈরি মসজিদ। নিজস্ব চিত্র
এলাকার অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করতে প্রত্ন-স্থাপত্যগুলিকে কেন্দ্র করে কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের তরফে সম্প্রতি সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে এলাকায় লোকসংস্কৃতির সংগ্রহশালা তৈরির প্রস্তাব দিল মঙ্গলকোটের ব্লক প্রশাসন।
রবিবার, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান, লোক গবেষক-সহ নানা পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মঙ্গলকোটের বিডিও সায়ন দাশগুপ্ত। সেখানেই তিনি প্রস্তাব দেন, এলাকায় তৈরি হোক লোক-সংস্কৃতির সংগ্রহশালা। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, পর্যটকদের শোলাশিল্পের প্রদর্শনীও দেখানো হবে। শুধু তাই নয়, শোলার বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির পদ্ধতিও দেখানো হবে পর্যটকদের।
এই ব্লকে কী ভাবে গড়ে উঠবে পর্যটনশিল্প। প্রশাসন সূত্রে খবর, পর্যটকেদের থাকার জন্য মঙ্গলকোটের পিলসুয়ায় একটি রিসর্ট তৈরি করা হবে। শোলা, কাঁথাস্টিচের শিল্প প্রদর্শনীর পরে ক্ষীরগ্রামে সতীপীঠ যোগাদ্যার মন্দির দর্শন, ভোগ বিতরণ, মাঝিগ্রামের আদি শষ্যদেবী শাকম্ভরী, বৌদ্ধ, বিষ্ণুমূর্তি-সহ নানা বিষয় দেখানো হবে পর্যটকদের। এমনকী গাজনের সময় দেউলেশ্বরের সাথে শাকম্ভরীর বিয়েও দেখতে পাবেন পর্যটকেরা। পর্যটকদের জন্য থাকছে পীর ও কবি গানের আসর।
এ ছাড়াও বাবলাডিহিতে জৈনমূর্তি, মঙ্গলকোটে হামিদ বাঙালির মাজার, কোগ্রামে উজানি, হুসেন শাহ’র আমলের টেরাকোটা মসজিদ, পিলসুয়াতে আউলচাঁদের সমাধিক্ষেত্রও দেখতে পাবেন পর্যটকেরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশিষ্ট প্রত্ন-সংগ্রাহক কেশব বন্দোপাধ্যায়ের নামে লোকসংগ্রহশালা তৈরির প্রস্তাব দেন বিডিও।
ব্যবস্থা থাকছে পর্যটকদের রসনা-তৃপ্তিরও। মধ্যযুগের রন্ধন প্রণালী মেনে তৈরি করা হবে নানা ধরনের পদ। সায়নবাবুর আশা, ‘‘অনেকের ব্যক্তিগত সংগ্রহে প্রত্নসামগ্রীগুলি রয়েছে। সেগুলি তাঁরা আমাদের হাতে তুলে দিলে সেগুলির প্রদর্শনী করা হবে। এই পর্যটনের ফলে আখেরে লাভবান হবে গোটা মঙ্গলকোটই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy