পরিদর্শন: কাটোয়া-আমোদপুর নতুন ব্রডগেজ লাইনে রেলের আধিকারিকেরা। বুধবার। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
নতুন ব্রডগেজ লাইন পরিদর্শনে এসেছিলেন রেলের কর্তারা। কিন্তু কোথাও প্ল্যাটফর্ম থেকে গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা তৈরি, কোথাও আবার হল্ট স্টেশনের দাবিতে তাঁদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী। বুধবার কাটোয়া-আমোদপুর ব্রডগেজ লাইন পরিদর্শনে এসে এমন দাবি কথা শোনার পরে হাওড়া ডিভিশনের এসআরএম আরকে চৌধুরী বলেন, ‘‘লাইনের কাজ প্রায় শেষ। এখন সব দাবি মানা মুশকিল। তবু বিবেচনার জন্য স্থানীয় বিধায়কের মাধ্যমে দাবির কথা জানাতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের।’’
রেল সূত্রে জানা যায়, বছর চারেক আগে কাটোয়া থেকে আমোদপুর ৫১.৩৩ কিলোমিটার লাইন ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়। ৩৫৭ কোটি টাকায় ১৪টি স্টেশনের কাজ শুরু করে পূর্ব রেল। রেলের আধিকারিকেরা লাইন পরিদর্শনে বেরিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ নবগ্রাম-কাঁকুরহাটি হল্টে পৌঁছতেই তাঁদের ঘিরে ধরেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, অজয়ের সেতুর উপরে লাইন বরাবর গোয়াই রেলগেট থেকে নবগ্রামে যাওয়ার প্রায় ৬০০ মিটার রাস্তাটি অক্ষত রাখতে হবে। গেজ পরিবর্তনের কাজ চলাকালীন ওই রাস্তায় হেঁটে বা মোটরবাইক, সাইকেলে যাতায়াত করা গেলেও ট্রেন চালুর পরে তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব ঠাকুর, ব্রজগোপাল ঘোষদের বক্তব্য, ‘‘সকাল ৯টা ৩৫-এর কাটোয়াগামী ট্রেনটিতে চড়তে না পারলে কাটোয়া পৌঁছনোর আর কোনও উপায় থাকবে না। ট্রেনের সংখ্যাও কম। ফলে, ট্রেন চালু হলে দুর্বিষহ অবস্থা হবে।’’
বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, রেললাইন থেকে নবগ্রামে ঢোকার রাস্তাও পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দিচ্ছে রেল। এমনকী, নতুন টিকিট কাউন্টারটিও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে খানিকটা দূরে। তাই ট্রেন চললেও কার্যত স্টেশন ব্যবহার করতে পারবেন না নবগ্রামের বাসিন্দারা। এ সব সমস্যার সমাধান চেয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এর পরে পাঁচুন্দি ও অম্বলগ্রামের মাঝে সেতুগুলি খতিয়ে দেখে নিরোল হল্ট স্টেশনে যান কর্তারা। সেখানেও নিরোল গ্রাম হল্ট স্টেশন চালু ও বৈদ্যুতিকরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা আশিষ রায়ের কথায়, ‘‘ন্যারোগেজ লাইনে নিরোল গ্রাম হল্ট ও মহেশপুর হল্ট ছিল। তীর্থস্থান অট্টহাস সতীপীঠে যাতায়াতের সুবিধায় তা ফের চালুর দাবি জানাচ্ছি।’’ এ ছাড়া ছ’জোড়া লোকাল ট্রেন ও কাটোয়া থেকেরামপুরহাট, দেওঘর হয়ে জসিডি পর্যন্ত একটি লোকাল ট্রেন চালুর দাবি তোলা হয়। এ ছাড়া নিরোল ও কোমরপুর হল্টের মাঝে একটি কালভার্ট তৈরির দাবি জানান বেণিনগর, কোমরপুর, ধাঁদলসা-সহ পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা। বিবেচনার আশ্বাস দেন আধিকারিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy