Advertisement
E-Paper

অনলাইন ছেড়ে দোকানেই আস্থা পুজোর জামায়

ক্রেতাদের এমন উৎসাহ দেখে অনেক দোকানই বাড়তি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বার্নপুরের একটি বড় দোকানের তরফে ভক্ত দত্ত বলেন, ‘‘সব সামলাতে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এখন খানিকটা বেশি সময় দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে।’’

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:০০
জমজমাট: আসানসোল বাজারে পুজোর কেনাকাটার ভিড়। ছবি: শৈলেন সরকার

জমজমাট: আসানসোল বাজারে পুজোর কেনাকাটার ভিড়। ছবি: শৈলেন সরকার

ক্রেতাদের হুড়োহুড়ি, ধাক্কাধাক্কিতে এক দিকে হেলে প়ড়ল মেটাল ডিটেক্টর। দৃশ্যটা একটা শপিং মলের। পুজোর ক’দিন আগে দিনভর ক্রেতাদের এমনই লম্বা লাইন, হুড়োহুড়়ি দেখা যাচ্ছে আসানসোল বাজারের নানা দোকান, শপিং মলে। ক্রেতাদের একাংশের দাবি, অনলাইন নয় সাবেক দোকানই পুজোর বাজারের প্রথম পছন্দ।

বুধবার দুপুর তিনটে। স্থান, আসানসোল বাজার। এক বড় দোকানের সামনে দেখা চিকিৎসক তানিয়া রায়ের সঙ্গে। গরমে ঘেমেনেয়ে একসা অবস্থা তখন তাঁর। দু’হাতে পুজোর বাজারের ব্যাগ নিয়ে তিনি বললেন, ‘‘হাতে তো আর একদমই সময় নেই। সাধারণত অনলাইনে জামাকাপড় কিনি। কিন্তু পুজোর বাজারটা দোকানে এসে নেড়েচে়ড়ে না দেখলে ঠিক যেন হয় না।’’

ক্রেতাদের এমন উৎসাহ দেখে অনেক দোকানই বাড়তি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বার্নপুরের একটি বড় দোকানের তরফে ভক্ত দত্ত বলেন, ‘‘সব সামলাতে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় এখন খানিকটা বেশি সময় দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে।’’

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বার শারদোৎসব খানিকটা আগে। তাই পুজোর বাজার জমবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু একটি বিপণী শৃঙ্খলের তরফে অনুপ শর্মা বলেন, ‘‘ক্রেতাদের আগ্রহ সে সব চিন্তা মুছে দিয়েছে।’’ একই রকম ভিড় আসানসোল স্টেডিয়াম লাগোয়া শপিংমলেও। সেখানেও লম্বা লাইন। ব্যাগ পরীক্ষা করতে করতে হাঁপিয়ে উঠছেন রক্ষীরা। কখনও কখনও তা নিয়ে ধৈর্যচ্যুতিও ঘটছে ক্রেতাদের। পেশায় ইস্কোর কর্মী প্রভাস দাস বলেন, ‘‘বাজার তো নয়, যেন পুজোর প্যান্ডেল দেখতে ঢুকছি।’’

শুধু ভিড়ই নয়। অনলাইনের সঙ্গে টেক্কা দিতে এ বার দোকানিরাও জোর দিয়েছেন হরেক কিসিমের ফ্যাশনে। মহিলাদের জামাকাপড়ে বাংলাদেশি জামদানির সঙ্গে সমানে পাল্লা দিচ্ছে তসর, মসলিন ও সাধারণ তাঁতের সম্ভার। তবে এ সবের সঙ্গে ক্রাশড জিনস, টপ-সহ নানা রকম পশ্চিমি ধাঁচের পোশাকের বাজারও মারকাটারি বলে দাবি শহরের একটি অভিজাত বস্ত্রবিপণীর কর্ণধার বিপিন মেহারিয়ার। ভক্তবাবু জানান, ছেলেদের পোশাকে জিনস, চেক শার্ট, উজ্জ্বল রঙের শর্ট টি-শার্টের ভাল চাহিদা রয়েছে। অষ্টমীর ফ্যাশনের জন্য রঙিন পাঞ্জাবি, কুর্তাও বাজার-দৌড়ে পিছিয়ে নেই।

কেউ কেউ সাবেক, পশ্চিমি, দু’ধরনের পোশাকই কিনছেন। যেমন একটি কর্পোরেট সংস্থার কর্মী সুদেষ্ণা বসুর দিন কয়েক পরেই বিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘শুধু পশ্চিমি ঘরানার পোশাক নয়। বরং কিছু সাবেক পোশাকও কিনছি, বিয়ের কথা ভেবে।’’

Shopping Puja Shopping
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy