Advertisement
E-Paper

রাস্তা-ভাতা কিছুই মেলেনি, নালিশ নেতাদের পেয়ে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোতা গ্রামের ধর্মরাজতলায় নেতারা যেতেই গ্রামের মূল রাস্তা ঢালাই না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানান এলাকাবাসী। সরকারি আবাসন প্রকল্পে বাড়ি, ভাতা না পাওয়া নিয়েও ক্ষোভ জানান বৃদ্ধা, মহিলারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০৫
বিল্বগ্রাম এলাকায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন এক বৃদ্ধা। নিজস্ব চিত্র।

বিল্বগ্রাম এলাকায় ক্ষোভ জানাচ্ছেন এক বৃদ্ধা। নিজস্ব চিত্র।

‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’য় উন্নয়নের প্রচারে গিয়ে এলাকাবাসীর একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়লেন আউশগ্রামের বিধায়ক ও ব্লক তৃণমূল নেতারা। রবিবার বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেতেই রাস্তা তৈরি না হওয়ায়, বাড়ি-ভাতা না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন অনেকে। কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েই তড়িঘড়ি ফিরে যান নেতারা। যদিও পরে বিধায়ক ক্ষোভের কথা মানতে চাননি। তাঁর দাবি, উন্নয়নের কিছু কাজ বাকি আছে। কয়েকজন সেটাই জানতে চেয়েছেন।

তৃণমূল সরকারের দশ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরতে শুক্রবার থেকে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রচার শুরু করেছেন দলের নেতারা। বিলি করা হচ্ছে উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড। রবিবার বিল্বগ্রামের প্রচার কর্মসূচিতে ছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার, আউশগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমান, কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী, ব্লকের যুব সভাপতি দেবাঙ্কুর চট্টোপাধ্যায়েরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোতা গ্রামের ধর্মরাজতলায় নেতারা যেতেই গ্রামের মূল রাস্তা ঢালাই না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানান এলাকাবাসী। সরকারি আবাসন প্রকল্পে বাড়ি, ভাতা না পাওয়া নিয়েও ক্ষোভ জানান বৃদ্ধা, মহিলারা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিমান বজর, বাপি ঘরুই, আশিস মণ্ডল, শিশির বাগেরা জানান, ভোতা গ্রামের হিন্দুপাড়ার আশি গজতলা থেকে দাসপাড়া পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা বর্ষায় চলাচল করা যায় না। হাজার চারেক মানুষের বাস সেখানে। মাঝেমধ্যে মাটি ফেলে খন্দ ভরাট করা ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি, অভিযোগ তাঁদের। ব্লক সভাপতি স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি উত্তম রায়চৌধুরীকে ডেকে জানতে চান, কী কারণে রাস্তা ঢালাই হয়নি। উত্তমবাবু দাবি করেন, ‘‘পঞ্চায়েতের পরিকল্পনায় রাস্তাটি রয়েছে।’’ রাণু বাগ, পাপিয়া মাজি, সুজয়া মাজিরা ঘর না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তাঁদের দাবি, ‘‘ছোট ঘরে গুঁজে থাকছি, অথচ অনেকে একাধিক বার ঘর পাচ্ছে।’’ আশির উপর বয়স হলেও ভাতা মেলেনি, দাবি কনকলতা ঘোষ, সাবিত্রী ঘোষেরা। বারবার আবেদন জানিয়ে বার্ধক্য ভাতা না মেলার অভিযোগ করেছেন ফজলুল হক, শেখ আসগরেরাও। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘বিধায়ককে বিষয়গুলো জানানোর জন্য এসে দেখি তিনি তড়িঘড়ি করে চলে গেলেন। কোনও কথায় বলা হয় না।’’

এলাকার বিজেপি নেতা দেবু মাহালির দাবি, ‘‘উন্নয়নের কাজ না করে উন্নয়নের প্রচার করতে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। মানুষ তাঁদের বয়কট করেছেন।’’ যদিও বিধায়কের দাবি, ‘‘কেউ ক্ষোভ জানাননি। মানুষের দাবির কথা শোনার জন্যই ওই এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়া হয়েছিল। এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়নের কাজ হয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কয়েকজন সেই নিয়েই দাবি জানিয়েছেন। দ্রুত সেগুলি করার ব্যাপারে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’’

TMC Aushgram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy