Advertisement
০১ মে ২০২৪
RPF

পারিবারিক অশান্তির কারণে শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেন থেকে ঝাঁপ তরুণীর! তদন্ত করছে রেলপুলিশ

আরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনকাপাসি স্টেশনের কাছে শিশু-সহ এক মহিলা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন বলে এক পুলিশ কর্মীর কাছে খবর আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলপুলিশ।

image of woman

জখম মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:০২
Share: Save:

রেল লাইনের ধার থেকে গুরুতর জখম এক শিশু এবং এক মহিলাকে উদ্ধার করল রেল পুলিশ। তার পর পরিবারের হাতে তুলে দিল। কাটোয়া-বর্ধমান রেলপথের বনকাপাসি স্টেশনের কাছের ঘটনা। ওই মহিলা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন না কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তদন্ত করছে রেল পুলিশ। পারিবারিক অশান্তির খবরও জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনকাপাসি স্টেশনের কাছে শিশু-সহ এক মহিলা ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন বলে এক পুলিশ কর্মীর কাছে খবর আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে জখম ওই মহিলা এবং শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জখম মহিলা ও শিশুটিকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

জখম মহিলার নাম রুমা ঘোষ।তাঁর বাড়ি পূর্বস্থলী থানার পুরনো বাজার এলাকায়। রুমা কি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন, না কি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন, তা নিয়ে রয়েছে ধন্দ। রুমার জ্ঞান ফিরলে তাঁর সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। আড়াই বছরের শিশুর মাথাতেও আঘাত লেগেছে। রুমার পরিবারের দাবি, বোনের বিয়ে উপলক্ষে বুধবার নদিয়ার প্রতাপনগরে শ্বশুরবাড়ি থেকে পূর্বস্থলীতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন রুমা। পারিবারিক অশান্তির জেরে সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ কাউকে কিছু না জানিয়ে শিশুকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। রুমার ভাই বাপ্পা ঘোষ জানান, বোনকে খুঁজতে রাতে কাটোয়া স্টেশন পোঁছন তাঁরা। সেখানেই খবর পেয়ে বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করান। শিশু এবং মায়ের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাটোয়ার রেল পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

RPF woman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE