এই জলই পরিস্রুত হয়ে পৌঁছয় বাড়িতে। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই রাস্তার কলের সামনে বালতির সারি। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা মহিলাদের একটাই কথা, ‘‘জল আসবে কখন?’’ কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কাটোয়ার বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই জল মিলছে না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বেশির ভাগ সময়েই জল আসছে না। যদিও বা আসছে তা এতটাই সরু যে বালতি ভরতে দীর্ঘ সময় লাগছে। বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে সমস্যা আরও বেড়েছে বলেও তাঁদের দাবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশি জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে ১, ১৪, ১৫, ১২, ৭, ১৬ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। শহরবাসীর অভিযোগ, জলের চাপ না থাকায় পাইপলাইনে জল আসছেই না। আবার এলেও এতটাই ঘোলা ও নোংরা যে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। মাধবীতলার সমাপ্তী দত্ত, গৌরাঙ্গপাড়ার কৃষ্ণগোপাল দে, মনসাপাড়ার সুপ্রিয়া ঘোষালদের অভিযোগ, মাসদুয়েক যাবৎ জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। সকালে তো এত কম সময় জল থাকছে যে প্রয়োজন মিটছে না। পুরসভায় এ বিষয়ে বারবার জানানো হলেও কোনও প্রতিকার মেলেনি বলেও তাঁদের দাবি। পঞ্চাননতলার মৌসুমী ধাড়া, খেপাকালীতলার তুফান মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, ‘‘দিনে পাঁচ ঘন্টা জল সরবরাহ করার কথা। কিন্তু সকালের এক ঘণ্টা পরেই জল এত সরু হয়ে যায় যে আধ ঘণ্টাতেও বালতি ভরে না।’’ মাসখানেক আগে জলের সমস্যা মেটানোর দাবিতে সুবোধ স্মৃতি রোডে বিক্ষোভও দেখান ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তরফেও পুরসভায় অভিযোগ জানানো হয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে সুবোধ স্মৃতি রোডে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছিল বছর দুয়েক আগে। গঙ্গার জল এই জলাধারে পরিস্রুত করে তিনটি জলাধারে পাঠানো হয়। জলাধার থেকে ৩৩টি বাণিজ্যিক সংযোগ-সহ মোট ৭৫৮১ পরিবার জল পায়। পুরসভার জলবিভাগের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমন দাসের কথায়, ‘‘বর্ষায় অজয়ের জল গঙ্গায় এসে মেশায় জল খুবই ঘোলা হয়ে গিয়েছে। সেই জল পরিশোধন করতেও সময় লাগছে বেশি।’’ বর্ষা মিটলেই সমস্যার সমাধান করা যাবে বলেও তাঁর আশা। পুরপ্রধান অমর রামও কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে শীঘ্রই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy