স্কুল চত্বরে অনেক গাছেই পাখির বাসা। ক্লাসের ফাঁকে কখন যে সেখান থেকে ডিমগুলি পড়ে ভেঙে যায়! সেই দৃশ্য প্রভাব ফেলে পড়ুয়াদের মনে। তাই ডিমগুলির নিরাপত্তায় শিক্ষকদের পরামর্শে, গাছে মাটির হাঁড়ি টাঙিয়ে পাখিদের জন্য কৃত্রিম বাসা তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে আউশগ্রামের ভাল্কীপটি আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
প্রধান শিক্ষক সুদীপকুমার দে জানান, স্কুল চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসা তৈরি করে। কালবৈশাখির ঝড়ে বা বৃষ্টিতে অনেক সময় পাখিদের বাসা নষ্ট হয়ে যায়। ডিম ও ছানা মাটিতে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও বড় পাখি বা কুকুর-বেড়ালে পাখিদের খেয়ে নেয়। এ সবেরই প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের মনে। তাই পাখিদের বংশ বিস্তার ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
পড়ুয়ারা জানায়, স্কুল চত্বরের নানা গাছে মাটির ছোট হাঁড়ি ও কলসিতে খয়েরি রঙ লাগিয়ে, ফুটো করে পাখির বাসা তৈরি করা হয়েছে। হাঁড়ির ভেতরে খড় বিছিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর পর সেগুলি গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে ঝড়-বৃষ্টিতে ডিম বা ছানা আর মাটিতে না পড়ে।
স্কুলের শিক্ষক রণজিৎ খান বলেন, “এই পৃথিবী শুধু মানুষের জন্য নয়, সকল পশু-পাখি, প্রাণীর জন্য। প্রকৃতির সঙ্গে পড়ুয়াদের সংযোগ ঘটিয়ে এই সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের উদ্দেশ্য। ওরা তাতে সফল হয়েছে।” শিক্ষকদের মতে, এই উদ্যোগ পড়ুয়াদের প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বশীল করে তুলবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)