মত্ত অবস্থায় কালীপুজোর মণ্ডপে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে বর্ধমানের রায়নার বৈদ্যপুর গ্রামে এই ঘটনায় ১১ জন আহত হন। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক রঙও লেগেছে।
গোতান পঞ্চায়েতের বৈদ্যপুর গ্রামে সর্বজনীন ওই কালীপুজোর উদ্যোক্তা স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রদীপ মালিক। তিনি অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁদের মণ্ডপে ১০-১২ জন মত্ত অবস্থায় হাজির হয়। তারা মণ্ডপে মহিলাদের উদ্দেশে কটূক্তি করলে গোলমাল বেধে যায়। প্রদীপবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওরা তখন আমাদের মারধর শুরু করে। আমি, আমার বাবা-মা, আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা মার খাই। ওদের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্রও ছিল। মারধর করে ওরা পালিয়ে যায়।’’ দুষ্কৃতীদের মারধরে জখমদের প্রথমে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। চার জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রদীপবাবু-সহ সাত জন এখনও চিকিৎসাধীন।
প্রদীপবাবু আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী। যদিও সিপিএমের রায়না জোনাল সম্পাদক মির্জা আখতার আলি দাবি করেন, নেশা করে কিছু লোকজন নিজেদের মধ্যে গোলমালে জড়িয়ে পড়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বর্ধমানের এসডিপিও কার্তিকচন্দ্র মণ্ডলেরও বক্তব্য, ‘‘মত্ত অবস্থায় দু’দল লোক মারপিট করেছে বলে খবর মিলেছে। এক পক্ষ থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy