পূর্বস্থলীর ক্লাস্টারে চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা তৈরি করেছেন স্যানিটারি ন্যাপকিন। ‘মানবী’ নামে ওই ন্যাপকিন তাঁদের কাছ থেকে কিনে এলাকার স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে বিলি করবে পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতি। ন্যাপকিনের ব্যবহার বাড়ানো ও সচেতনেতা তৈরি করতে এই পদক্ষেপ বলে পঞ্চায়েত সমিতির কর্তারা জানান। আপাতত সে জন্য খরচ করা হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আশা কর্মীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিয়মিত ন্যাপকিন ব্যবহার করে ৩০ শতাংশের মতো মহিলা। তা জানার পরেই হাইস্কুলগুলিতে ন্যাপকিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ন্যাপকিন তৈরিতে এগিয়ে আসে ৩৭০টি মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত শ্রীরামপুরের ‘সর্বজয়া’ নামে একটি ক্লাস্টার। মাস ছয়েক আগে তারা নেমে পড়ে এই কাজে।
ওই ক্লাস্টার সূত্রে জানা যায়, গুজরাত থেকে এক দল প্রশিক্ষক সংস্থার কার্যালয়ে এসে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিয়ে যান। এর পরেই ক্লাস্টারের নিজস্ব ভবনে ন্যাপকিন তৈরি শুরু করে দেন রেখা দেবনাথ, অনিতা মণ্ডল, অপর্ণা দেবনাথ, নমিতা দেবনাথেরা। ন্যাপকিনের প্যাকেটের নকশা, রং ও নামকরণ করেন বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায়।
ওই গোষ্ঠীর সভানেত্রী সুতপা দেবনাথ, সম্পাদক শেফালি মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ন্যাপকিন তৈরির কাজে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ লক্ষ টাকা পরিকাঠামো তৈরির জন্য বরাদ্দ করেছেন আনন্দধারা প্রকল্পের অতিরিক্ত জেলা মিশন ডিরেক্টর।’’ তাঁদের দাবি, প্রায় ১২ হাজার ন্যাপকিন তৈরি করা হয়েছে। সাতটি করে ন্যাপকিনের এক-একটি প্যাকেটের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৮-২০ টাকা। তবে এলাকার অন্য ক্লাস্টারগুলিকে আরও কম দামে তা দেওয়া হবে। ভাল মানের এই ন্যাপকিন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রিরও ভাবনা রয়েছে বলে সুতপাদেবীরা জানান।
পঞ্চায়েত সমিতির সভপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, ‘‘দারুণ পরিকল্পনা করে এগোচ্ছেন ক্লাস্টারের সদস্যেরা। পঞ্চায়েত সমিতি তাঁদের পাশে রয়েছে।’’ বিডিও পুষ্পেনবাবু জানান, আজ, সোমবার এলাকার ভবতারিণী রায় বালিকা বিদ্যালয় থেকে ন্যাপকিন বিলি শুরু হবে। তিনি বলেন, ‘‘ন্যাপকিনের ব্যবহারের সুবিধা একটি স্লাইড শোয়ের মাধ্যমে দেখানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy