Advertisement
E-Paper

হাসপাতালেই পরীক্ষার ব্যবস্থা অসুস্থ পড়ুয়াদের

পূর্বস্থলী ১ ব্লকের পারুলডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক দিচ্ছে রিয়া হালদার। তার কেন্দ্র ছিল কালনা ১ ব্লকের নতুনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবারও পরীক্ষা দিয়ে ভাল ভাবেই বাড়ি ফেরে রিয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০১:৪৫
কালনা হাসপাতালে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

কালনা হাসপাতালে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

পরীক্ষার আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল চার ছাত্রছাত্রী। কালনায় তাদের মধ্যে তিন জন হাসপাতালে বসেই মাধ্যমিকের অঙ্ক পরীক্ষা দিল সোমবার। কিন্তু অসুস্থতার জন্য পরীক্ষা দিতে পারল না এক জন।

পূর্বস্থলী ১ ব্লকের পারুলডাঙা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক দিচ্ছে রিয়া হালদার। তার কেন্দ্র ছিল কালনা ১ ব্লকের নতুনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবারও পরীক্ষা দিয়ে ভাল ভাবেই বাড়ি ফেরে রিয়া। তবে সোমবার সকাল থেকে পরিবারের সদস্যেরা দেখেন, তার হাত-পা ক্রমশ অবশ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। কালনার জিউধারা এলাকার বাসিন্দা শবনম খাতুন শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে সম্প্রতি এই হাসপাতালে ভর্তি হয়। শহরের শশীবালা সাহা উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র মহিষমর্দিনী গার্লস ইনস্টিটিউশন। রিয়া ও শবনমকে এ দিন হাসপাতালের তরফে একটি ঘরে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

এ ছাড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেয় তারক বাছার নামে এক ছাত্র। কালনা মহিষমর্দিনী ইনস্টিটিউশনের এই ছাত্রের মাধ্যমিকের আসন ছিল নিগমানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে। জিউধারা এলাকার বাসিন্দা তারকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেলে সাইকেলে রাস্তায় বেরিয়েছিল সে। সাতগাছিয়া এলাকায় একটি মোটরবাইকের ধাক্কায় সে জখম হয়। তাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই তিন ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

মোফাসের মণ্ডল নামে খরিনান উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্র পেটের ব্যথা নিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার পক্ষে এ দিন অঙ্ক পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তার বাবা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘‘ছেলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরীক্ষায় বসতে পারেনি।’’

এ বার জেলার নানা হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই অসুস্থ পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আউশগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজা খাতুন মোটরবাইক দুর্ঘটনায় জখম হওয়ায় প্রথমে বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার গুসকরা পিপি ইনস্টিটিউশন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে ফের অসুস্থ বোধ করায় গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার সেখান থেকেই পরীক্ষা দেয় সে।

Madhyamik Examination Kalna কালনা মাধ্যমিক
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy