Advertisement
E-Paper

দেহে আঘাত ছিল না, বলছে রিপোর্ট

পুকুর থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রের দেহ মেলার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছিল শহরে। খুনের অভিযোগে কালনার পুরপ্রধানের ছেলে (মৃতের সহপাঠী), এক কাউন্সিলর ও আর এক যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তবে খুনের কারণ স্পষ্ট হচ্ছিল না। সোমবার ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে জানা যায়, জলে ডুবেই অম্বিকা মহিষমর্দিনী স্কুলের ওই ছাত্র, সুহৃৎ দাসের মৃত্যু হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৬ ০৮:১০

পুকুর থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রের দেহ মেলার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছিল শহরে। খুনের অভিযোগে কালনার পুরপ্রধানের ছেলে (মৃতের সহপাঠী), এক কাউন্সিলর ও আর এক যুবককে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তবে খুনের কারণ স্পষ্ট হচ্ছিল না। সোমবার ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে জানা যায়, জলে ডুবেই অম্বিকা মহিষমর্দিনী স্কুলের ওই ছাত্র, সুহৃৎ দাসের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সাঁতার জানার পরেও কী ভাবে ডুবে মৃত্যু হল তার উত্তর মেলেনি।

জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে জলে ডুবে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও মেলেনি। তবু বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠানো হবে।’’

সুহৃতের বাবা হৃষিকেশবাবুর অবশ্য দাবি, ছেলেকে খুনই করা হয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি না ওর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর কিনারা করতে যত দূর যেতে হয় যাব।’’

বুধবার সকালেই কালনার একটি সিনেমা হল লাগোয়া পুকুর থেকে ওই ছাত্রের দেহ মেলে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগের ছেলে ঘটনায় জড়িত অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ, অবরোধ। পুরপ্রধান ঘটনাস্থলে গেলে তাঁর মোটরবাইর ভাঙচুর করা হয়। গ্রেফতার করা হয় সুহৃতের সহপাঠী, পুরপ্রধানের ছেলেকে। মৃত ছাত্রের বাবা-মা দাবি করেন, ‘‘পুরপ্রধান ও তাঁর ছেলে সুহৃৎ একটি মেয়ের সঙ্গে চলে গিয়েছে বলে আমাদের জানান। কিন্তু তাঁদের কথায় বিশ্বাস হয়নি।’’ মোবাইলের এস-ডি কার্ড নিয়ে ছেলের সঙ্গে অভিযুক্তের গোলমাল হয়েছিল বলেও তাঁদের দাবি।

পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি এস-ডি কার্ড পায়। জেরায় জায়া যায় কার্ডটি সুহৃতের। তবে তার মধ্যে আপত্তিজনক কিছু পায়নি পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে ত্রিকোণ প্রেমের যোগ আছে কি না, মৃত ও অভিযুক্তের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও তা জানার চেষ্টা চলছিল। এ দিন অবশ্য সে সব থেকে আর কোনও সূত্র পাওয়া গিয়েছে কি না তা জানাতে চায়নি পুলিশ। সাঁতার জানা সত্ত্বেও ডুবে মৃত্যু হল কী ভাবে বা মুখ অত কালো হয়ে গিয়েছিল কেন, সে সব প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি।

পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, ‘‘আগেই বলেছিলাম যে তিন জনের নামে অভিযোগ তারা কেউ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ঘটনার উঁচু পর্যায়ের তদন্তের পক্ষেই রয়েছি আমি। আমি চাই মানুষের সামনে সত্যিটা আসুক।’’

Drawn to Death post mortem Kalna
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy