E-Paper

জঙ্গলে ঢাকা কুলডিহার স্কুল চত্বর, উস্কে দিল ফুলঝোড়ের স্মৃতি

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েক দিন আগে সাপে কাটার ফলে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার আগে ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে পাঠাতেও দেরি করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:২৭
স্কুল চত্বর ভরেছে ঝোপঝাড়ে। কাঁকসায়।

স্কুল চত্বর ভরেছে ঝোপঝাড়ে। কাঁকসায়। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুল চত্বর ও হস্টেল আগাছায় ঢেকেছে। সীমানা পাঁচিল নেই। হস্টেলের পরিকাঠামো বেহাল। এমনই অভিযোগ উঠেছে কাঁকসার কুলডিহা শহিদ সুকুমার ব্যানার্জী মেমোরিয়াল হাইস্কুলে। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

২০০৯-এ কুলডিহা গ্রামে স্কুলটি চালু হয়। প্রথম দিকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হলেও, বছর দুয়েক আগে স্কুলটিকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হয়। বর্তমানে স্কুলে প্রায় ৩৭৩ জন পড়ুয়া রয়েছে। কিন্তু পরিষ্কারের অভাবে স্কুল চত্বর ঝোপ, জঙ্গলে ভরে গিয়েছে বলে জানান অভিভাবক থেকে বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বর্ষার পরে থেকে স্কুল ভবনের চারপাশ আগাছায় ঢাকা। অভিযোগ, সে সব পরিষ্কার করতে কোনও পদক্ষেপ করেনি স্কুল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েক দিন আগে সাপে কাটার ফলে এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার আগে ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে পাঠাতেও দেরি করা হয়েছে।— এমন নানা অভিযোগ তুলে সম্প্রতি দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের মূল গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন অভিভাবকদের একাংশ। অভিভাবকদের অভিযোগ, কুলডিহার এই স্কুলটিরও একই অবস্থা। তাঁদের আশঙ্কা, এখানেও সাপের উপদ্রব হতে পারে। অভিভাবক বুধন হাঁসদা, সুবল মুর্মুরা বলেন, “দুর্গাপুরের ওই স্কুলের ঘটনার পরে, অনেকেই ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। দ্রুত স্কুল চত্বর পরিষ্কার করা দরকার।” একই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। কুলডিহা গ্রামের বাসিন্দা বরুণ ঘোষাল জানান, কয়েক দিন আগেই সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মালা দিতে তাঁরা স্কুলে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল চত্বরের যা অবস্থা, তাতে পড়ুয়ারা স্কুলের কোথাও খেলাধুলো পর্যন্ত করতে পারবে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বিঘা জায়গায় রয়েছে এই স্কুল। স্কুল ভবন বাদ দিয়ে অনেক জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। বাসিন্দারা জানান, কিন্তু ঝোপ-জঙ্গল পরিষ্কার না হওয়ায়, সেই জায়গা ব্যবহারও করা যায় না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত কুমার বলেন, “দ্রুত সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kuldiha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy