E-Paper

নোড়া পান্তুয়ার জিআই তকমার দাবিতে চিঠি

মন্ত্রী চিঠিতে জানিয়েছেন, কালনায় ১০৮ শিবমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, মহাপ্রভুর বাড়ি, ভবা পাগলার মন্দির, দাঁতনকাঠিতলার মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির, কমলাকান্তের বাড়ির মতো বহু দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৫
কালনার নোড়া পান্তুয়া।

কালনার নোড়া পান্তুয়া। —নিজস্ব চিত্র।

চেনা পান্তুয়ার মতো পুরো গোল নয়। ছোটখাটো একটু লম্বাটে তার শরীর। তৈরির পরে দীর্ঘ সময় হাবুডুবু খায় কড়াই ভরা রসে। মিষ্টিতে কামড় বসালেই জিভ, মুখ ভরে ওঠে রসালো আনন্দে। কালনার বিখ্যাত এই মিষ্টির নাম নোড়া পান্তুয়া। এই মিষ্টি যাতে জিআই তকমা পেতে পারে তা নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন পূর্বস্থলী দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। বুধবার রাজ্যের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে এ নিয়ে চিঠি দেন তিনি। মাটির হাঁড়িতে রাখা নোড়া পান্তুয়াও উপহার দেন মন্ত্রীকে।

মন্ত্রী চিঠিতে জানিয়েছেন, কালনায় ১০৮ শিবমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, মহাপ্রভুর বাড়ি, ভবা পাগলার মন্দির, দাঁতনকাঠিতলার মসজিদ, জগন্নাথ মন্দির, কমলাকান্তের বাড়ির মতো বহু দ্রষ্টব্য স্থান রয়েছে। কিন্তু দেশ, বিদেশের পর্যটকেরা শহরে এলে নোড়া পান্তুয়া নিয়ে যেতে ভোলেন না। তাঁর দাবি, ‘‘বহু বছর ধরে কালনা ও তার আশেপাশে নোড়া পান্তুয়া তৈরি হচ্ছে। এই মিষ্টিকে ঘিরে নানা গল্পও রয়েছে। জিআই তকমা পেয়ে গেলে এই মিষ্টির নাম আরও ছড়িয়ে পড়বে।’’ তাঁর দাবি, পান্তুয়া অন্য রাজ্যে তৈরি হলেও নোড়া পান্তুয়া শুধু কালনাতেই তৈরি হয়।

কালনা শহরে ছানার দু’টি বড় পাইকারি বাজার রয়েছে। বিকেল হলেই আড়ত থেকে ছানা কিনে নিয়ে গিয়ে পান্তুয়া বানানো শুরু করেন কারিগরেরা। শিলনোড়ার নোড়ার মতো দেখতে হওয়ায় এই নাম হয় মিষ্টির। ছানা, ময়দায় সামান্য খাবার সোডা মিশিয়ে মণ্ড তৈরি হয়। তারপরে তেল বা ডালদায় ভেজে ফেলা হয় মোটা রসে। রসে ফোটার পরে সেখানেই ডুবে থাকে মিষ্টি। বছর দেড়েক আগে কালনার বেশ কিছু মানুষ নোড়া পান্তুয়ার জিআই তকমা চেয়ে মহকুমাশাসককে চিঠি দেন।সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ফের নাড়াচাড়া শুরু হয়। কালনার একটি অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে এই ব্যাপারে আবেদন জানায় ‘কালনা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রি’। কালনার মাখা সন্দেশের ক্ষেত্রেও একই আবেদন করা হয়।

ওই সংগঠনের সদস্য সুশীল মিশ্র জানান, দু’টি মিষ্টিই বহু পুরনো। বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করে জিআই তকমার আবেদন করা হয়েছে। জিআই তকমা পেলে দেশ-বিদেশে মিষ্টির জনপ্রিয়তা বাড়বে, তাতে মিষ্টি ব্যবসায়ীদেরই লাভ হবে, দাবি তাঁদের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kalna swapan debnath

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy