স্কুলে প্রধান শিক্ষক তাঁকে জুতো নিয়ে মারতে গিয়েছিলেন, বর্ধমানের মহিলা থানায় অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষিকা। তার পরে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ ‘নিষ্ক্রিয়’ রয়েছে অভিযোগ তুলে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের দ্বারস্থ হলেন বড়নীলপুর এডিপি বিদ্যামন্দিরের ওই শিক্ষিকা তুলসী রায়। যদিও মহিলা থানার তরফে জানানো হয়, পুলিশ স্কুলে গিয়ে তদন্ত করেছে। প্রধান শিক্ষক সুজিত চৌধুরী অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, গত বছর স্কুলে তুলসীদেবীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ হয়। কিন্তু মাস চারেক বরখাস্ত থাকার পরে সেই সুপারিশ শিক্ষা দফতরের অনুমোদন না পাওয়ায় নভেম্বরে তুলসীদেবী যোগ দেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বছর ঘুরতে চললেও বকেয়া টাকা পাইনি। প্রধান শিক্ষক উদ্যোগী হচ্ছেন না দেখে জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানাই।” দু’জনকেই নিয়ে বৈঠক করেন ডিআই খগেন্দ্রনাথ রায়। সেখানে আলোচনায় ঠিক হয়, বকেয়া ফেরতের ব্যাপারে পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্তের প্রতিলিপি স্কুল পরিদর্শকের দফতরে জমা দিতে হবে।
তুলসীদেবী পুলিশে অভিযোগ করেন, ১০ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধান শিক্ষকের ঘরে ওই প্রতিলিপি চাইতে গেলে তিনি গালিগালাজ করেন ও জুতো নিয়ে তেড়ে আসেন। শিক্ষিকার কথায়, ‘‘আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। পরে পুলিশে অভিযোগ করি।’’ প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেন, ‘‘ওই শিক্ষিকা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলছেন। তিনিই সকলের সামনে আমাকে অপমান করেছিলেন। তাই তাঁকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছি। এখন আবার তাঁর জন্য স্কুলের পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। আমি ভয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে রয়েছি।’’
এ দিন মন্ত্রী স্বপনবাবুর সঙ্গে দেখা করেন তুলসীদেবী। মন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি দেখার জন্য জেলার পুলিশ কর্তাদের অনুরোধ করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy