রোগীর দেখভালের জন্য দু’জনকে রেখেছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু রোগীর উপরে বিরক্ত হয়ে সারা রাত বিছানার সঙ্গে তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিজনেরা।
দুর্গাপুরের চণ্ডীদাস অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ধনপতি বটব্যাল গত ৭ জুন পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন ডিএসপি হাসপাতালে। প্রবীণ ওই ব্যক্তির দেখাশোনার জন্য পরিবারের তরফে গাঁটের টাকা খরচ করে কৃষ্ণ ও রবি নামের দু’জনকে রাখা হয়। ধনপতিবাবুর অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার দু’দিন পর থেকে অত্যাচার শুরু হয়। তিনি জানান, পেটের সমস্যার জন্য তাঁকে মাঝে-মধ্যেই শৌচাগারে যেতে হচ্ছিল। বিছানা থেকে বারবার উঠে জল খেতে হচ্ছিল। ৯ জুন রাতে বারবার শৌচাগারে যাওয়ায় ও জল খেতে চাওয়ায় দেখভালের জন্য রাখা ওই দু’জন তাঁকে গালিগালাজ শুরু করে। শুধু তাই নয়, তাঁর হাত-পা ব্যান্ডেজ ও দড়ি দিয়ে বিছানার সঙ্গে বেঁধে দেয় বলেও অভিযোগ।
ধনপতিবাবুর কথায়, ‘‘আমি বারবার ওঠার ফলে ওদের ঘুমের অসুবিধা হচ্ছে বলে জানায়। যাতে আমি আর উঠতে না পারি সে জন্য বেঁধে দেয় ওরা।’’ পরিজনেরা জানান, সারারাত বাঁধা থাকার ফলে ধনপতিবাবুর হাত-পা ফুলে যায়। পরের দিন ডাক্তারকে দেখানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শে হাসপাতালে এক্স-রে করানো হয়। ১৩ জুন ধনপতিবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরে ১৫ জুন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রবি ও কৃষ্ণর নামে লিখিত অভিযোগ করেন ধনপতিবাবু। তিনি জানান, এখনও তাঁর হাত-পা ফুলে রয়েছে। ঠিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। একপ্রকার শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছেন।
অন্য নানা হাসপাতালের মতো ডিএসপি হাসপাতালেও রোগীর দেখভালের জন্য অনেক পরিবারই টাকা দিয়ে বাইরে থেকে লোক রাখেন। তাঁদের উপরে ভরসা করে থাকেন রোগীর আত্মীয়েরা। কিন্তু এই ধরনের ঘটনার ঘটনার পরে তাঁরা রীতিমতো আতঙ্কিত বলে জানান ধনপতিবাবু। ডিএসপি কারখানার ডিরেক্টর অশোককুমার সিংহ জানান, ওই সময়ে তিনি ছুটিতে ছিলেন। এ নিয়ে খোঁজখবর করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy