Advertisement
E-Paper

জেলা সভাধিপতির পদে দাবিদার তিন

পদ একটিই, কোথাও দাবিদার তিন, কোথাও বা ছয়। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির পরে এ বার পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদেও পদাধিকারী ঠিক করতে গিয়ে হিমসিম তৃণমূল।

সুশান্ত বণিক

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩১

পদ একটিই, কোথাও দাবিদার তিন, কোথাও বা ছয়। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির পরে এ বার পশ্চিম বর্ধমানের জেলা পরিষদেও পদাধিকারী ঠিক করতে গিয়ে হিমসিম তৃণমূল। শেষমেশ যাবতীয় সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের উপরেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

সভাধিপতি পদটি এ বার মহিলা তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন জানান, সভাধিপতির পদের জন্য দাবিদার তিন জন। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁরা সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউড়ির স্ত্রী সুভদ্রাদেবী, বকুল মণ্ডল ও মিঠু সাউ। ওই তিন জনের নামই প্রস্তাব আকারে রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়। আগামীকাল, ২৩ সেপ্টেম্বর কলকাতায় একটি বিশেষ বৈঠক হবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মন্ত্রী মলয় ঘটকের। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষদের নাম ঠিক করে দেবেন বলে জানিয়েছেন ভি শিবদাসন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই দিনই বিকেলে সভাধিপতির নাম লেখা বন্ধ খাম নিয়ে মন্ত্রী তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস আসানসোলে পৌঁছবেন। যে নাম জানানো হবে, তা সবাইকেই মানতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও রকম বিরোধিতা চলবে না।’’

এই তিন নামের মধ্যে কে সভাধিপতি হতে চলেছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, পাল্লা ভারী সুভদ্রাদেবীর দিকেই। রতিবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুভদ্রাদেবীর পঞ্চায়েত চালানোর বিষয়ে গত পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বিশ্বনাথবাবুর অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে পারবেন বলে মনে করছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, শুধু সভাধিপতির জন্যই এমন অবস্থা, তা নয়। সহ-সভাধিপতির পদের জন্যও চার জনের নাম প্রস্তাব আকারে রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক ছিল সাত জন কর্মাধ্যক্ষের নাম চূড়ান্ত করবে জেলা কমিটি। শুধুমাত্র পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদের জন্য ছ’জন দাবিদার হওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, একাধিক কর্মাধ্যক্ষ পদের জন্য এলাকার নেতা, বিধায়কেরাও নিজেদের পছন্দের সদস্যদের নাম প্রস্তাব করে বসেন।

এই অবস্থায় কর্মাধ্যক্ষের পদগুলিতে নাম চূড়ান্ত করার ঝুঁকি নিতে চাননি জেলার নেতারা। রাজ্য কমিটির উপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ১৭ আসনের জেলা পরিষদে এ বার ১৬ টিই তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। একটি আসন পেয়েছে বামফ্রন্ট। জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘এক দিকে পঞ্চায়েত চালানোর দক্ষতা। অন্য দিকে সমাজের সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, এমন সদস্যদেরই জেলা পরিষদের প্রশাসনিক পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্য নেতারা। সেই সিদ্ধান্ত সকলকেই মানতে হবে।’’

TMC Panchayat Burdwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy