Advertisement
E-Paper

জায়গা নেই, লাটে পড়াশোনা

অভিভাবকদের দাবি, পরিস্থিতি এমনই যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৬৯ জন খুদেও পড়তে বসার জায়গা পায় না। কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা আরাধনা সরকার বলেন, ‘‘ঘরের ছাদ ফেটে জল পড়ে। উঠোনেও ৬৯ জনকে বসানো যায় না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ০৭:০০
এ ভাবে চলে অঙ্গনওয়াড়ি। নিজস্ব চিত্র

এ ভাবে চলে অঙ্গনওয়াড়ি। নিজস্ব চিত্র

একটি ছোট্ট ঘর। তার মধ্যে ডাঁই করে রাখা চালের ড্রাম, আনাজের বস্তা। পাশের ঘরে রান্না হয়। এই নিয়েই চলছে মঙ্গলকোটের বকুলিয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা সমস্যায় পড়াশোনা হয় না বললেই চলে।

মাঝিগ্রাম পঞ্চায়েতের বকুলিয়া গ্রামে রয়েছে দু’টি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র। এর মধ্যে মাত্র এক শতক জায়গার উপরে সরকারপাড়ায় ৯৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে। কেন্দ্রটিতে দু’টি ঘর রয়েছে। একসময়ে স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা ‘গ্রাম বারোয়ারি’র জন্য বাসনপত্র রাখতেন সেখানে। বছরখানেক হল তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন আবার সেই ঘরটির দরজা উধাও। ফলে সেটি রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশের ছোট্ট আরও একটি ঘরে চাল, মশলা, আনাজ-সহ নানা জিনিস রাখা হয়।

অভিভাবকদের দাবি, পরিস্থিতি এমনই যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৬৯ জন খুদেও পড়তে বসার জায়গা পায় না। কেন্দ্রটির দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা আরাধনা সরকার বলেন, ‘‘ঘরের ছাদ ফেটে জল পড়ে। উঠোনেও ৬৯ জনকে বসানো যায় না। গ্রীষ্মে তবুও পড়ুয়ারা উঠোন ও লাগোয়া রাস্তায় বসে। কিন্তু বর্ষায় উঠোনে জল যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পড়াশোনা।’’

সমস্যা রয়েছে রান্না নিয়েও। রাঁধুনি প্রতিমা ধীবরের অভিযোগ, ‘‘বর্ষায় জল জমলে রান্নাও বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ে এক জন স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ির উঠোনে রান্না করতে হয়।’’ সমস্যায় পড়েছেন এলাকার প্রসূতিরাও। জবা মাঝি নামে এক প্রসূতি বলেন, ‘‘বর্ষায় খাবার পাব কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।’’

স্থানীয় বাসিন্দা দুখীরাম সর্দার, সুশোভন সর্দারেরা জানান, বছর দুয়েক আগে এই কেন্দ্রের চারপাশে উঁচু জমিতে জনবসতি গড়ে ওঠায় কেন্দ্রটি নিচু হয়ে গিয়েছে। ফলে বর্ষায় জল জমলে তা সহজে নামতে পারে না। সুপারভাইজার কণিকা দাশগুপ্তের অবশ্য দাবি, ‘‘সবে ওই কেন্দ্রের দায়িত্ব পেয়েছি। খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ নতুন ঘর চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করা হবে বলে জানান মঙ্গলকোট ব্লকের চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার নজরুল হক।

Anganwadi Students Panchayat মঙ্গলকোট
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy