জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পরপর মৃত্যুর ঘটনায় নড়ে বসল দুর্গাপুর পুরসভা। শহরের নানা ওয়ার্ডে সাফাই কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুরসভায় ‘অভিযোগ বাক্স’ রাখার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) লাভলি রায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ যাতে নিজেদের অভিযোগ, পরামর্শ জমা দিতে পারেন এবং পুরসভা তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে, তা মাথায় রেখে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই উদ্যোগ হয়েছে।’’
অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রবিবার ভগৎ সিংহ কলোনির বাসিন্দা এক যুবকের মৃত্যু হয়। শনিবার তিনি ভর্তি হয়েছিলেন বেনাচিতির একটি নার্সিংহোমে। রবিবার সকালে সেখানেই মারা যান। একই ভাবে দিন কয়েক আগে জ্বর নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বেনাচিতির অন্নপূর্ণানগরের এক যুবক। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। গত কয়েক দিনে জ্বর নিয়ে শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকে। তাঁদের অনেকের প্রাথমিক লক্ষণ থাকলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় কারও ডেঙ্গি মেলেনি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। শহরবাসীর ক্ষোভ, জ্বরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়লেও শহরের আনাচেকানাচে জমে থাকা আবর্জনা সরাতে পুরসভার তরফে জোরদার তৎপরতা নজরে আসছে না। যদিও পুরসভা বরাবরই দাবি করছে, শহর জুড়ে মশানাশক ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। আগাছা ও জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজও চলছে।
এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ডগুলিতে সাফাই কর্মী জনা দশেক করে বাড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০ জন করে সাফাইকর্মী কাজ করবেন। তিন জন করে সুপারভাইজার তদারকিতে থাকবেন। এ ছাড়া সোমবার থেকে পুরসভায় স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জমার বাক্স চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা, অভিযোগ, দাবিদাওয়া, পরামর্শ সেখানে জমা দিতে পারবেন বাসিন্দারা। প্রতি দিন বিকেল সাড়ে ৪টের সময়ে সেই বাক্স খুলে অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy