ফের অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গোতিষ্ঠা। এ বার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। মারধর করা হয় স্থানীয় দুই ব্যক্তিকেও।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ গোতিষ্ঠার মিস্ত্রিপাড়ায় অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন ঘোষের বাড়িতে কয়েকজন দুষ্কৃতী বোমা ছোড়ে। গ্রিলের কাচ ও কাঠের দরজা ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। একটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়। মনোরঞ্জনবাবুর দাবি, ‘‘বাড়িতে ভাইফোঁটার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন স্ত্রী-মেয়ে। তখনই বোম পড়ার আওয়াজ শুনতে পাই।’’ পড়শি বিপত্তারন পালের বাড়ির চালও ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। বেলা ১০টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমার সুতলি ও কিছু টুকরো পায়।
এ দিনই গোতিষ্ঠা বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। দোকানের মালিক শিবসাধন ঘোষ ও তাঁর ছেলে দেবাশিষ ঘোষকে দুষ্কৃতীরা মারধর করে কিছু টাকা লুঠ করে বলেও অভিযোগ। দু’জনকেই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, মাস দেড়েক আগে কাশেমনগরের জনসভায় দলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল মনোরঞ্জনবাবুকে অঞ্চল সভাপতি নির্বাচন করেন। তার আগে গোতিষ্ঠা অঞ্চলে ১০ সদস্যের একটি কমিটি থাকলেও কোনও সভাপতি ছিল না। মনোরঞ্জনবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি দলের নির্বাচিত সভাপতি হয়েছি বলেই বিধায়ক অনুগামীদের মদতে কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালাচ্ছে।’’ বিধায়ক অনুগামী দুষ্কৃতীরা বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত সিপিএম সমর্থক ছিল বলেও তাঁর দাবি।
তৃণমূল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিন দুয়েক ধরে গোতিষ্ঠা ও পাশের দীর্ঘসোঁয়া গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি চলছে। জখম হয়েছেন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করবে। এ দিন বিকাল পর্যন্ত ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।