Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

রায়নায় তৃণমূল অফিসে ভাঙচুর

হামলা-পাল্টা হামলায় অশান্ত হয়ে উঠল রায়নার নতু গ্রাম। শনিবার রাতে প্রথমে বিজেপি কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর, তার পরে তৃণমূলের অফিসে পাল্টা ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

বাঁ দিকে, নতু গ্রামে তৃণমূলের সেই অফিস। ডান দিকে, আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

বাঁ দিকে, নতু গ্রামে তৃণমূলের সেই অফিস। ডান দিকে, আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়না শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ০০:২৫
Share: Save:

হামলা-পাল্টা হামলায় অশান্ত হয়ে উঠল রায়নার নতু গ্রাম। শনিবার রাতে প্রথমে বিজেপি কর্মী সন্দেহে কয়েকজনকে মারধর, তার পরে তৃণমূলের অফিসে পাল্টা ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। দলের দুই নেতা-কর্মীর বাড়িতেও হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা তাদের সমর্থক বলে দাবি বিজেপি-র।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ নতু গ্রামের কুটিরপাড়ায় একটি ক্লাবের সামনে পাঁচ-ছ’জন যুবক বসেছিলেন। অভিযোগ, মোটরবাইকে এসে তৃণমূলের কিছু লোকজন তাঁদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এর পরেই কিছু পুরুষ ও মহিলা গ্রামের বাসস্টপে তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। দফতরের আসবাবপত্র থেকে অ্যাসবেস্টসের চালে ভাঙচুর করা হয়।

ওই গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় সাঁতরা রায়না থানায় কুটিরপাড়ার ২৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, অফিস ভাঙচুরের পরে রড, বাঁশ, শাবল, কুড়ুল, লাঠি নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সুপ্রিম সরকার ও দলের নেতা বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে চড়াও হয় হামলাকারীরা। তাঁদের না পেয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে রাস্তায় বোমাবাজি, দলের সমর্থক সুকুমার কাঁড়িকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ সঞ্জয়বাবুর। সুকুমারবাবু চিকিৎসাধীন।

বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ঘটনার পরে পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে, মহিলাদের মারধর করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। ধৃতদের কেউ আনাজ ব্যবসায়ী, কেউ মুদি ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দা সুষমা সাঁতরা, ছায়া পাকড়ে, জয়ন্ত ঘোড়ুইরা দাবি করেন, পাড়ার কিছু যুবক দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে ক্লাবের সামনে বসে কয়েকজন হিসেব করছিলেন। তখনই হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পাড়ার কিছু লোকজন তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর করে।

বিজেপি-র সাংগঠনিক সভাপতি (বর্ধমান সদর) সন্দীপ নন্দীর অভিযোগ, ‘‘ধৃতেরা আমাদের কর্মী। রাখি উৎসব বানচাল করতে পুলিশ মিথ্যা অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছে। তৃণমূলের অফিস ভাঙচুর দলীয় কোন্দলের ফল।’’ যদিও রবিবার আদালতে তোলার সময়ে ধৃতেরা দাবি করেন, তাঁরা কোনও দলের সমর্থক নন। শনিবারের রাতের ঘটনাতেও জড়িত নন। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘রাতের অন্ধকারে বাম-রাম এক হয়ে ঘৃণ্য কাজ করেছে।’’ বাড়িতে চড়াও হয়ে গ্রেফতার করার কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Police Arrest Vandalism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE