নিয়োগ-বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে!
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা এসএমএস করে পরীক্ষা নিয়ামক ও তৃণমূল প্রভাবিত দুটি কর্মচারী সংগঠনকে জানান, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের পরে থেকে অস্থায়ী কর্মী (বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষায় হায়ার্ড লেবার) নিয়োগ হয়ে থাকলে তাঁদের আর কাজে নেওয়া যাবে না। এসএমএসে রেজিস্ট্রার এ-ও জানান, উপাচার্যের নির্দেশেই মেসেজটি পাঠিয়েছেন।
এসএমএস পেতেই শুরু হয় হুলস্থূল। তৃণমূল প্রভাবিত ওই দুই কর্মচারী সংগঠনের তরফে শহরের তৃণমূল নেতা থেকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রত্যেকেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলে সমাধান সূত্র বের করার আশ্বাস দেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সমাধান সূত্র বের হয়নি দেখে দুই সংগঠন এক হয়ে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ উপাচার্যকে ঘেরাও করেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিমাই সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। দিন কয়েক আগে তিনি জানতে পারেন, পরীক্ষা নিয়ামক দফতর নভেম্বর মাস থেকে দফায় দফায় ৩২ জনকে নিয়োগ করেছে। শুধু জানুয়ারি মাসেই নিয়োগ করা হয়েছে ১৬ জনকে! তিন দিন আগে উপাচার্য পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে হানা দিয়েও কোনও নথি পাননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তার কথায়, ‘‘এরপর উপাচার্য ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দিতেই কার্যত ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ল।’’