Advertisement
E-Paper

জল সঙ্কট মেডিক্যালে, বিপাকে রোগীর পরিজনেরা

হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরিজন। তাঁর জন্য জল আনতে এসে দেখেন লম্বা লাইন। পেছন থেকে তাড়া আসতেই উত্তর এল, ‘কল থেকে জল প্রায় পড়ছেই না।’ অগত্যা লাইন ছেড়ে বাইরে থেকে জল কিনে নিয়ে গেলেন গলসির বাসিন্দা মানস রায়। বাঁকুড়া থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয় আবার লাইনে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘বাঁকুড়ায় জলের সঙ্কট আছে। কিন্তু বর্ধমানেও যে এ অবস্থা জানা ছিল না।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২৭
জল নিতে লাইন। নিজস্ব চিত্র।

জল নিতে লাইন। নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরিজন। তাঁর জন্য জল আনতে এসে দেখেন লম্বা লাইন। পেছন থেকে তাড়া আসতেই উত্তর এল, ‘কল থেকে জল প্রায় পড়ছেই না।’ অগত্যা লাইন ছেড়ে বাইরে থেকে জল কিনে নিয়ে গেলেন গলসির বাসিন্দা মানস রায়। বাঁকুড়া থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয় আবার লাইনে দাঁড়িয়েই বললেন, ‘‘বাঁকুড়ায় জলের সঙ্কট আছে। কিন্তু বর্ধমানেও যে এ অবস্থা জানা ছিল না।’’

সব মিলিয়ে তীব্র দাবদাহে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জলের সঙ্কট নিয়ে রোগী ও পরিজনদের ভোগান্তি নিত্য দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসার জন্য আসেন বর্ধমান মেডিক্যালে। বর্ধমান ছাড়াও এই হাসপাতালের উপর নির্ভর করেন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম বহু বাসিন্দা। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলের চাহিদা। কিন্তু অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরের বহু কল খারাপ, মিলছে না পর্যাপ্ত পানীয় জল। রোগীর পরিজনেদের অভিযোগ, জরুরি বিভাগের সামনে ঠাণ্ডা পানীয় জলের কলটি বেশ কিছুদিন ধরেই বিকল। শিশু বিভাগের সামনে কল থেকেও মিলছে না জল। বেহাল অবস্থা রান্নাঘর লাগোয়া জলের কলটির। খুব কম জল পড়ে সেটি থেকে। কিন্তু ওই কলটিই এখন মূল ভরসা রোগীর আত্মীয়দের। সারা দিনও লম্বা লাইন লেগে থাকে। সোমবার রায়না থেকে পরিজনের চিকিৎসা করাতে এসেছেন খাদিম শেখ। তিনি জানান, সারা দিন এখানেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু এত বড় হাসপাতালে মিলছে না খাওয়ার জলটাই। হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের কলগুলি বহু দিনের পুরনো। ঠিক মতো জল না পড়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বর্ধমান মেডিক্যালের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও স্থানীয় এক ব্যক্তি দু’টি ঠাণ্ডা জলের শেড তৈরি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও সেগুলি চালু হয়নি। পানীয় জলের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা। তিনি জানান, ভোটের কারণে বরাত পাওয়া সংস্থাগুলি কাজ বন্ধ রেখেছে। ২- ৩ দিনের মধ্যেই সবগুলি পানীয় জলের কল ঠিক করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস তাঁর।

Water crisis Bardhman Medical College Bardhman Medical College
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy