Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
Security of Women

আড়াই বছর ধরে বিকল পড়ে একাধিক আলো

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে এই এলাকায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তিনটি হাইমাস্ট বাতি বসানো হয়।

বিকল বাতি। নিজস্ব চিত্র

বিকল বাতি। নিজস্ব চিত্র pradip mukherjee

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:১৪
Share: Save:

প্রায় আড়াই বছর ধরে বিকল পড়ে আছে এলাকার তিনটি হাইমাস্ট বাতি, সন্ধ্যে নামলেই অন্ধকারে ঢাকছে আউশগ্রামের অভিরামপুর বাজার এলাকা। পঞ্চায়েতে বার বার জানিয়েও সুরাহা হয়নি বলে ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। সামনে দুর্গোৎসব। এর আগে ওই বাতিগুলি মেরামতির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুসকরা-মানকর রাস্তায় অভিরামপুর বাজার একটি জনবহুল এলাকা। এই মোড় থেকে গুসকরা, গলসি, বর্ধমান, মানকর হয়ে বুদবুদ, আউশগ্রাম-সহ বিভিন্ন দিকে যাওয়া যায়। ফলে প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ এই এলাকায় যাতায়াত করেন। ছোট-বড় মিলিয়ে কয়েকশো দোকান রয়েছে এখানে। এ ছাড়াও পঞ্চায়েত অফিস, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কার্যালয়, সমবায় সমিতি-সহ একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে
এই এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বছর পাঁচেক আগে এই এলাকায় কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে তিনটি হাইমাস্ট বাতি বসানো হয়। একটি বসানো হয় এড়াল মোড়ে, একটি অভিরামপুর বাসস্ট্যান্ডে এবং আরও একটি সেচখালের সেতুর কাছে। স্থানীয় লোকজনের দাবি, হাইমাস্ট বাতিগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও বৈদ্যুতিক বিল স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে করার কথা। অভিযোগ, কোনওটি দু’বছর, কোনওটি আবার আড়াই বছর ধরে বিকল পড়ে আছে। ফলে সূর্য ডুবলেই বাজার এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যায়। কয়েক মাস আগেই বাজার এলাকায় একটি সোনার দোকানে চুরির হয়। যে কোনও সময় ফের অঘটনের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে দু’টি হাইমাস্ট বাতি পঞ্চায়েত এবং একটি আউশগ্রামের বিধায়কের তহবিল থেকে বসানো হয়।

স্থানীয় এড়াল পঞ্চায়েতের প্রধান পানো মার্ডি বলেন, “বাতিগুলি বন্ধ থাকায় সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারছি। এই মূহুর্তে পঞ্চায়েতের তহবিলের অবস্থা ভাল নয়। তবে দুর্গাপুজোর আগে বাতিগুলি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Ausgram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE