প্রতীকী চিত্র
আইনজীবীদের কর্মবিরতির পরে সবে এক সপ্তাহ আদালতের কাজকর্ম স্বাভাবিক হয়েছে। তার মধ্যেই আবারও দু’দিন কর্মবিরতির ডাক দিল বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন। আজ, বৃহস্পতিবার ও কাল শুক্রবার কর্মবিরতি চলবে। তারপরে শনি, রবি ছুটি থাকায় কাজকর্ম শুরু হবে সেই সোমবার।
আইনজীবীদের দাবি, গরমে কাজকর্মে মুশকিল হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা বলেন, “সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত।” কয়েকজন আইনজীবী অবশ্য এ বারও ওই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। কালনা আদালতেও কর্মবিরতি চলছে বুধবার থেকে। কারণ সেই গরম। আইনজীবীদের অবশ্য দাবি, বসার জায়গা, পানীয় জলের মতো পরিকাঠামো না থাকায় বিচারপ্রার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। যাতায়াতে মুশকিল হচ্ছে আইনজীবীদেরও।
এ দিকে, বারবার কর্মবিরতিতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সমাজের অন্য পেশার মানুষজন গরমে কাজ করতে পারলে, আইনজীবীরা কেন পারবেন না, সে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এর আগে ২৩ মে টানা এক সপ্তাহ অত্যাধিক গরমে বার অ্যাসোসিয়েশন কর্মবিরতি ডাকে। কয়েকজন আইনজীবী তার বিরোধীতা করে। বুধবার বারের বৈঠকেও আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। কেউ কেউ তো বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত মানবে না বলেও জানিয়ে দেন। পরে, সম্পাদক ব্যক্তিগত স্তরে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করার পর ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা।
গরম ছাড়া শুনানি নিয়ে প্রশ্ন তুলেও বারবার এজলাস বয়কট করার নজিরও রয়েছে বর্ধমানের একাংশ আইনজীবীদের। এ ছাড়াও কোনও সহকর্মীর মৃত্যুতেও এজলাসে আসেন না আইনজীবীরা। যা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরেও সমালোচনা হয়। তারপরেও তাঁদের টনক নড়ে না। এমনিতেই আদালতে প্রচুর মামলা পড়ে রয়েছে। তার উপর যে কোনও ‘অজুহাতে’ বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতির ফলে বিপাকে পড়ছেন বিচারপ্রার্থীরা—এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ। সে জন্য ওই আইনজীবীরা সিজিএম এজলাসে ‘পুলিশ ফাইল’ চালু রাখার ব্যাপারে সওয়াল করেন। তাঁদের যুক্তি, ধৃতদের জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়া উচিত। এই সুবিধা না পেলে ধৃতদের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy