Advertisement
E-Paper

কর্মীদের মারধর, বাস ধর্মঘট

কর্মীদের মারধরের অভিযোগে দুর্গাপুরের ৮-বি রুটে বৃহস্পতিবার দিনভর বন্ধ রইল মিনিবাস পরিষেবা। কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাস মালিক সংগঠনও। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরার আশ্বাস, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৫
নড়ল না চাকা। দুর্গাপুরের প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নড়ল না চাকা। দুর্গাপুরের প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ডে তোলা নিজস্ব চিত্র।

কর্মীদের মারধরের অভিযোগে দুর্গাপুরের ৮-বি রুটে বৃহস্পতিবার দিনভর বন্ধ রইল মিনিবাস পরিষেবা। কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বাস মালিক সংগঠনও। মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) শঙ্খ সাঁতরার আশ্বাস, দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। দুর্গাপুর স্টেশন থেকে মুচিপাড়া, বিধাননগর, ইস্পাতনগরীর একাংশ হয়ে বেনাচিতির প্রান্তিকা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৮-বি রুটে প্রায় ৫০টি মিনিবাস চলে। সে দিন করঙ্গপাড়ার কাছে ওই রুটের একটি বাসের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গতির অভিযোগ তুলে আটকে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে। তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ বাসকর্মীদের। বৃহস্পতিবার ওই রুটের সব মিনিবাসের কর্মীরা একজোট হয়ে বাস বন্ধ করে দেন। মিনিবাস মালিকেরাও ঘটনার নিন্দা করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।

ওই রুটে মাঝেমধ্যেই এ ভাবে বাস বন্ধের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ। কখনও অটো চালকদের সঙ্গে মিনিবাস কর্মীদের মারপিট, কখনও কলেজ ছাত্রদের হাতে বাসকর্মীদের প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। আগাম নোটিস ছাড়া হঠাৎ ওই রুটে মিনিবাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অফিসযাত্রী, নিত্যযাত্রী এবং স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা বিপাকে পড়েন। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে অটো-টোটো ধরে বা চড়া ভাড়া গুণে গন্তব্যে পৌঁছন। মিনিবাস মালিকদের সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক কাজল দে যাত্রীদের এই দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেও দাবি করেন, ‘‘বাসকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব। নিশ্চিত আশ্বাস না পেলে বাস চালানো মুশকিল। সেই দাবিই জানিয়েছি।”

বাসকর্মীদের দাবি, যাত্রীদের সঙ্গে সব সময় তাঁরা সহযোগিতা করেন। নিত্যযাত্রী, স্কুল-কলেজের পড়ুয়া, পরিচারিকার কাজ করেন যাঁরা— সবার জন্য ভাড়ায় ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে। অথচ, কারণে-অকারণে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয় না। এমনকী, পুলিশও সহযোগিতা করে না বলে অভিযোগ। বুধবারের ঘটনার পরেও পুলিশ অসহযোগিতার মনোভাব দেখিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরকে উদ্যোগী হয়ে সমস্যা মেটাতে বলা হয়েছে।’’

Durgapur worker
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy